জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। শুরুটা ভালোই হয় তাদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। তবে এরপর পাওয়ার প্লে’তে আর সাফল্য পাননি বাংলাদেশি বোলাররা। গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে সাকিব আল হাসানের দল। এবার বোলিংয়ের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারেই আফগানদের ৪ উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও সাকিব আল হাসান।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই অভিষেকে রহমানুল্লাহ গুরবাজ খেলেন ২৪ বলে ৪৩ রানের ইনিংস। তবে গতকাল ইনিংসের প্রথম বলেই গুরবাজের স্টাম্প উপড়ে নেন টাইগার পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এরপর দ্বিতীয় ওভারে সাকিব আল হাসানকে তুলে মারতে গিয়ে ধরা খান হজরতুল্লাহ জাজাই। ওই ওভারের প্রথম বলে মুশফিকুর রহীম স্টাম্পিং মিস না করলে নাজিব তারাকাইয়ের উইকেটটিও পেতেন সাকিব। তবে সাইফের করা তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ডিপ মিড উইকেটে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন তারাকাই। এর আগের বলেই দুর্দান্ত এক ছক্কা মেরেছিলেন তিনি।

নিজের তৃতীয় ও দলীয় ষষ্ঠ ওভারে এসে দ্বিতীয় সাফল্য পান সাকিব। আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩০ বলে ৬৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলা নাজিবুল্লাহ জাদরানকে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান সাকিব।  ৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাজে বোলিং করেছিলেন সাকিব। এক ওভারেই দিয়েছিলেন ৩০ রান। ৪ ওভারে মোট ৫৯ রান দিয়ে উইকেট পেয়েছিলেন মাত্র একটি। গতকাল নিজের প্রথম ৩ ওভারে ১ মেডেনসহ ১১ রানে ২ উইকেট নেন সাকিব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাইফুদ্দিন ২৬ রান খরচায় পেয়েছিলেন ১ উইকেট। গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের প্রথম স্পেলে ২ ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট নেয়া এই অলরাউন্ডারের পূর্বের সেরা বোলিং ফিগার ছিল ২/৫৩।