× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাভারে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাভারে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল মজিদকে (৩৮) গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোররাতে পৌর এলাকার মল্লিকেরটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোক্তার হোসেন একাধিক হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল কাশেম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো ৮-৯ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা (৩৯) দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- সাভার পৌর এলাকার কোটবাড়ি মহল্লার মৃত ওমর উদ্দিন মোল্লার ছেলে মিকাইল মোল্লা (৬০) আনোয়ার হোসেনের ছেলে বাবু (২৬), মৃত সামসু বেপারির ছেলে মুক্তার হোসেন (৪০) তার ভাই মনির (৪৫), একই মহল্লার তুরাব আলীর ছেলে স্বপন (৩৮), বক্তারপুর এলাকার আনোয়ারের ছেলে মনির (২০), একই মহল্লার স্বপন আলীর ছেলে রিপন (২০), আনোয়ার (৬০) ও সুজাত (৩৮)সহ অজ্ঞাত পরিচয় আরো ৮-৯ জন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এরই মধ্যে মামলার এজাহার নামীয় তিন নং আসামি মোক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শিগগিরই বাকি আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল মজিদ (৩৮) তার সহযোগী স্বপন শেখ (২৬) কে সঙ্গে করে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে কোটবাড়ি এলাকায় পৌঁছলে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে মজিদের মাথায় গুলি করে এবং স্বপন শেখের পায়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মজিদকে মৃত ঘোষণা করেন এবং তার সহযোগী স্বপন শেখকে বর্তমানে হাসপাতালটির আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহত আব্দুল মজিদ বক্তারপুর কোটবাড়ি এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে এবং তার সহযোগী স্বপন শেখ একই এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। নিহত মজিদ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক মোল্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র মানিক মোল্লা বলেন, কিছুদিন আগে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী মিকাইল মেম্বারের সঙ্গে আব্দুল মজিদের ঝগড়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শনিবার রাতে মিকাইল মেম্বারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মজিদকে গুলি করে হত্যা করেছে। গুলিবিদ্ধ স্বপন শেখ জানান, মজিদ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় কোটবাড়ি এলাকায় পৌঁছলে কয়েক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় একটি গুলি মজিদের মাথার পেছনে লাগে এবং আরেকটি আমার পায়ে লাগে। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় মজিদের স্বজনরা আমাদেরকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মজিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মজিদের বোন নার্গিস জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে মিকাইল মেম্বার ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা তার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। কয়েক দিন আগে মিকাইল মেম্বারের সঙ্গে মজিদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মজিদকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন নার্গিস। তিনি আরো বলেন, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিকাইল মেম্বারের নেতৃত্বে যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন, বাবু, মনির, রিপন, সুজাতসহ ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী মজিদের মাথায় গুলি করে আমার চোখের সামনে দিয়ে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কোটবাড়ি এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মিকাইল মেম্বার ও মোক্তার বাহিনীর সদস্যদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর