সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান বাড়ানোর মৌলিক আইন হলো প্রতিযোগিতা আইন। এই বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রতিযোগিতা কমিশন। এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার কমপক্ষে ২ শতাংশ বাড়বে। গতকাল ইকোনমিক রিপোর্টার ফোরামের (ইআরএফের) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি) ও ইআরএফ যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। ইআরএফের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. আব্দুর রউফ, পরিচালক মো. খালেদ আবু নাছের, শ্রম ও উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের সাবেক মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী ও বিসিসি ডেপুটি সেক্রেটারি মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান ভূঁইয়া। আব্দুর রউফ বলেন, বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশে বিভিন্ন নামে প্রতিযোগিতা আইন ও কমিশন রয়েছে। যেসব দেশ আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছে, ওই সব জিডিপি ২ থেকে ৩ শতাংশ বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০১২ সালে এই হয়েছে। আর আইন বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালে কমিশন গঠিত হয়। কিন্তু এখনও বিধিমালা ও প্রশাসনিক কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও সম্পর্ক বাড়ানোর কাজ চলছে। তিনি বলেন, এই কমিশনের কাজ হলো দেশে টেকসই অর্থনৈতিক পরিবেশ তৈরি করা। সার্বিকভাবে মানুষের জীবন যাত্রার মান বাড়ানো। তার মতে, উদ্যোক্তাদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকলে পণ্যের মান ও উৎপাদন বাড়ে। কারণ, তখন উদ্যোক্তারা বাজার দখলের জন্য নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসে। তিনি বলেন, সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের বিশাল ভূমিকা পালন করতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকলেও তা সুস্থ নয়। এক্ষেত্রে পণ্যে ভেজাল দেয়ার প্রতিযোগিতা রয়েছে। খাবারের নামে মানুষ কী খাচ্ছে, তা কেউ জানে না। কিন্তু প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়ন হলে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ হবে। এতে পণ্যের দামও কমবে।