× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশে ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলবে আরব আমিরাত

শেষের পাতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার

বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য  কয়েকটি প্রকল্পসহ ৫টি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা। গতকাল দুবাইয়ের কনরাড হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরমের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ’র (বিএইচটিপিএ) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে প্রায় ২৫টি নতুন বিনিয়োগ প্রকল্প বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামে উপস্থাপন করা হয়। যেখানে বিনিয়োগকারীরা সালমান এফ রহমান ও সফররত বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তাদের প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন। পাশপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ১০ বিলিয়ন ডলার (৩৭.৭ বিলিয়ন দিরহাম) বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা।

অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশে অর্থনীতিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আগ্রহ দেখে আমি অত্যন্ত খুশি। আমরা সব সময় চীন, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় ধরনের বিনিয়োগ দেখে আসছি।
এখন আমরা বিশ্বাস করি জিসিসি ভুক্ত দেশগুলো বিশেষ করে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়, অপারেশনস এবং উচ্চতর রিটার্নের সুবিধা নেয়া উচিত। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জিসিসি ভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রধান উৎস হতে পারে। দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতি গঠনে সহায়তা করতে এ বিনিয়োগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সালমান এফ রহমান বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের সর্বনিম্ন শ্রমিক খরচ ও স্বল্প পরিচালনা ব্যয় থেকে লাভবান হতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উপসাগরীয় অঞ্চলের বিনিয়োগকারী বন্ধুরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান সুযোগ নিয়ে লাভবান হতে পারে। তিনি বলেন, আগামী বছরগুলোতে আমরা ইউএইর বিশাল কর্পোরেট কমিউনিটির সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাবো, যেন এই খাত থেকে বিনিয়োগের সুযোগ বের করা যায় এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানো যায়।

বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের লক্ষ্য হচ্ছে, সরকারী নীতি নির্ধারক, বেসরকারি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়িক মহলের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করা যেন তা বাংলাদেশসহ জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ধারা শক্তিশালী করতে দিনব্যাপী বিনিয়োগভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ৩০০ জনেরও বেশি সরকারি কর্মচারি, ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দ, বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর