ওভালে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩৫ রানে হারিয়ে ২-২ সমতায় অ্যাশেজ সিরিজ শেষ করলো ইংল্যান্ড। ১৯৭২ সালের পর এই প্রথম কোনো অ্যাশেজ ড্র হলো। তবে ১৮ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটি থেকে বিখ্যাত ‘ভস্মাধার’ সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াই। কারণ ঘরের মাঠে আগের অ্যাশেজে জিতেছিল তারা। ফলে আগামী ৩ বছর অ্যাশেজের ট্রফিটা থাকছে স্টিভেন স্মিথদের কাছে। পরবর্তী অ্যাশেজ ২০২১-২২ মৌসুমে। এজবাস্টনে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্ট ড্র হয়।
হেডিংলিতে তৃতীয় ম্যাচে নাটকীয় জয়ে সিরিজে সমতা আনে ইংল্যান্ড। কিন্তু ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে হারের মধ্য দিয়ে ২০০১ সালের পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে অ্যাশেজ খোয়ায় ইংলিশরা। ১৮ বছর আগে স্টিভ ওয়াহর ওই দলের কাছে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। তবে রোবাবর ওভালে শেষ টেস্ট জয়ের মধ্য দিয়ে সিরিজ পরাজয় রুখতে সক্ষম হয় জো রুটের দল।
টেস্টের চতুর্থ দিনেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে ইংল্যান্ড। ৩৯৯ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অজিরা অলআউট হয় ২৬৩ রানে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ১১৭ রান করেন ম্যাথু ওয়েড। নিয়মিত পারফরমার স্টিভ স্মিথ এদিন মাত্র ২৩ রান করে আউট হন। ইংল্যান্ডের পক্ষে ৪টি করে উইকেট নেন পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ও বাঁহাতি স্পিনার জ্যাক লিচ। অধিনায়ক জো রুটের শিকার ২ উইকেট। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৯৪ রান। জবাবে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ২২৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশদের সংগ্রহ ছিল ৩২৯ রান। ম্যাচসেরা হন জফরা আর্চার। ২ সেঞ্চুরি ও এক ডাবল সেঞ্চুরিতে ১১০.৫৭ গড়ে ৭৭৪ রান সংগ্রহ করে সিরিজসেরা স্মিথ। ১৯৯৪ সালের পর কোনো টেস্ট সিরিজে সবচেয়ে বেশি ব্যক্তিগত করার কৃতিত্ব দেখালেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। একাধিকবার নির্দিষ্ট একটি টেস্ট সিরিজে ৭০০’র বেশি রান সংগ্রহ করা ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান স্মিথ। বাকি পাঁচজন হলেন স্যার ডন ব্রাডম্যান, সুনীল গাভাস্কার, ব্রায়ান লারা, এভার্টন উইকস এবং স্যার গ্যারি সোবার্স। অ্যাশেজের ইতিহাসে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি করা করা ব্যাটসম্যানের তালিকায়য় স্মিথ পাঁচ নম্বরে উঠে এলেন। একটি অ্যাশেজ সিরিজে স্মিথের চেয়ে বেশি রান করেন ব্রাডম্যান (১৯৩০ সালে ৯৭৪ রান এবং ১৯৩৬-৩৭ সালে ৮১০ রান), ওয়ালি হ্যামন্ডস (১৯২৮-২৯ সালে ৯০৫ রান) ও মার্ক টেইলর (১৯৮৯ সালে ৮৩৯ রান)। ২৯ উইকেট নিয়ে এবারের অ্যাশেজে সবচেয়ে সফল বোলার প্যাট কামিন্স। কোনো ফাইফার ছাড়াই এক সিরিজে সর্বাধিক উইকেট নেয়ার রেকর্ডটিও গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই ডানহাতি পেসার।