× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাফুফে’র অডিট রিপোর্ট নিয়ে মহির আপত্তি

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বার্ষিক আর্থিক বিবরণীতে আপত্তি জানিয়েছেন সংস্থাটির সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি। গতকাল বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের কাছে নয়টি বিষয়ে তার এই আপত্তির কথা জানান তিনি। চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকেও অবহিত  করা হয়েছে।
সর্বশেষ কার্যনির্বাহী সভায় বিগত তিন বছরের অডিট রিপোর্ট অনুমোদনের জন্য এজেন্ডা আকারে উপস্থাপন করা হয়। ২৪ আগস্টের সভায় যা পুরোটাই অনুমোদন দেন বাফুফের কার্যনিবাহী কমিটি। সে সভায় অডিট রিপোর্টে আপত্তি জানানোর কথা জানিয়ে মহি বলেন, আমি ও আমাদের আরেকজন সহ-সভাপতি বাদল রায় অডিট রিপোর্টের ওপর দ্বিমত পোষণ করেছিলাম। যথাযথ প্রক্রিয়ায় অডিট রিপোর্ট পাশ করা হয়নি। ২০১৫ সালে এজিএম-এ কাউন্সিলরদের একটা দাবি ছিল প্রতি বছরের জন্য একটা বাজেট নির্ধারণ করে তার ব্যয় করতে হবে। সংখ্যায় কম থাকায় কার্যনির্বাহী কমিটি আমাদের আপত্তি আমলে নেয়নি।
কোথায় কোথায় অডিট রিপোর্টে গড়মিল হয়েছে সেটার ব্যাখ্যা দিয়ে এই সহ-সভাপতি বলেন, অডিট হচ্ছে আয় ও ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করা। যে অডিট ফার্ম দিয়ে অডিট করিয়েছে সেটা বাফুফে সম্পুর্ণ অনিয়মের ভিত্তিতে করিয়েছে। অডিট ফার্ম নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এজিএম। এজিএম নিয়ে অডিট ফার্ম নিয়োগ দেয়ার নিয়ম এখানে মানা হয়নি’। বিভিন্ন জায়গায় আর্থিক গরমিল পরিলক্ষিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে একটা মিনিমাম সাম অব এমাউন্ট খরচ করা হয়েছে, কিন্তু দেখানো হয়েছে তারচেয়ে বেশি। হয়তো কোনো একটা ইভেন্টে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে কিন্তু দেখানো হয়েছে ১২ লাখ টাকা। কিছু খরচ সাদা কাগজের ভাউচারে করা হয়েছে। প্রশাসনিক নিয়ম মানা হয়নি। সাদা কাগজে কোনো ভাউচার গ্রহণযোগ্য নয়। বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তার কথা উল্লেখ্য করে মহি বলেন, সিএফওকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ২০১৬ সালের অডিট রিপোর্ট কিভাবে ফিফা-এএফসির কাছে পাঠিয়েছেন। ২০১৬ সালের অডিট রিপোর্ট নির্বাহী কমিটির কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়নি। এজিএম তো দূরের কথা। ২০১৭ সালের বাফুফের অডিট রিপোর্ট নির্বাহী কমিটিতে পাঠানো হয়নি। ২০১৮ সালের রিপোর্ট তড়িঘড়ি করে করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেটা বাদ দিয়েই ফিফার কাছে পাঠানো হয়েছে। যেটা সম্পুর্ণ অনৈতিক, অবৈধ। আমরা এই অডিট রিপোর্ট নিয়ে ফিফা এএফসির কাছে যাবো। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও পাঠানো হবে এই অডিট রিপোর্ট।
বাফুফের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে দুনীর্তি হয়েছে তা এই অডিট রিপোর্ট দেখলেই বোঝা যায় জানিয়ে বাফুফের এই কর্মকর্তা বলেন, বাফুফের দুনীতি দুদক তদন্ত করছে। এটা আইনী প্রক্রিয়া আমি এ নিয়ে কথা বলতে চাই না। মহিউদ্দিন মহির এই অভিযোগ নিয়ে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুশের্দী বলেন, অডিট রিপোর্ট নিয়ে একজনের অবজারভেশন থাকতেই পারে। তিনি তো অর্থ কমিটিতে ছিলেন। তখন তিনি আপত্তি তোলেননি কেন? তাছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অডিট রিপোর্ট অনুমোদন হয়েছে। এখন বার্ষিক সাধারণ সভায় এটি পাস হবে বলে আশা করছি। সালাম মুশের্দীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মহি বলেন, ফাইনান্স কমিটির নিয়মিত সভাই হয়নি। যা হয়েছে তার বেশির ভাগ তার অফিসে হয়েছে। আগামী ১৬ই নভেম্বর বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুমোদনের জন্য ওই সভায় তোলা হবে বাফুফের এই অডিট রিপোর্ট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর