নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ তাসলিমা হত্যা মামলায় নিহতের স্বামীর দায়ের করা হত্যা মামলায় আমির হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত আমির হোসেন বাদীর বড় ভাই। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত একই সঙ্গে আসামিকে নগদ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমির হোসেন বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ ইসলামবাগ এলাকার মৃত ফালান ব্যাপারীর ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন সুইট জানান, আসামি আমির হোসেন স্থানীয় বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ না করে পালিয়ে বেড়াতেন। এনজিও সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা তার সন্ধান পাওয়ায় আমির হোসেন এ ব্যাপারে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তাসলিমাকে সন্দেহ করেন। সেই থেকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাসলিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।
২০১৪ সালের ৩রা জুলাই ভোরে পাঁচমাসের অন্তঃসত্ত্বা তাসলিমা সেহরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হন। এ সময় আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা ভাসুর আমির হোসেন তাকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাসলিমার মৃত্যু হয়। পরে নিহত তাসলিমার স্বামী মনির হোসেন বন্দর থানায় বাদী হয়ে বড়ভাই আমির হোসেনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো জানান, এই মামলায় পুলিশ আসামি আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করলে তিনি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দেন। দীর্ঘ পাঁচবছর মামলা চলমান থাকার পর আদালত ১৭ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে এ রায় দেন। মামলার বাদী মনির হোসেন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।