× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করিমগঞ্জে যুবক হত্যায় চার সহোদরসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে জমির দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত মো. মানিক মিয়া (৩৩) হত্যা মামলায় চার সহোদরসহ ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর ১৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন। এ সময় মামলার ২৩ আসামির মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ১০ আসামিসহ মোট ২২ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতরা হলো, মানিক, বাদল, নয়ন, সুজন, আলমগীর, মিজান, লোকমান, গিয়াস উদ্দিন, রহমত এবং মামুন। তাদের মধ্যে মানিক (৩৭), বাদল, নয়ন ও সুজন সহোদর এবং করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পালইকান্দা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হেকিম বাঘু মালের ছেলে। বাকিরাও একই গ্রামের বাসিন্দা। মামলার বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পালইকান্দা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হেকিম বাঘু মালের সঙ্গে একই গ্রামের বাসিন্দা পালইকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রশিদের জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালের ৬ই আগস্ট সকালে আব্দুল হেকিম বাঘু মালের লোকজন পালইকান্দা সামনের বন্দে আব্দুর রশিদের জমির পাট জোর করে কাটা শুরু করে।
এতে আব্দুর রশিদের লোকজন বাধা দিলে তাদের উপর হামলা চালায় আব্দুল হেকিম বাঘু মালের লোকজন। হামলায় সহকারী শিক্ষক আব্দুর রশিদের ভাতিজা মো. মানিক মিয়া প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হলে তাকে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান। নিহত মানিক মিয়া পালইকান্দা গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে। তিনি ঢাকায় সিএনজি চালাতেন। ঘটনার আগের দিন তিনি ঢাকা থেকে নিজগ্রামে বেড়াতে এসেছিলেন। এ ঘটনায় নিহত মানিক মিয়ার ভাই মো. খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই ২৭ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলম কিবরিয়া ২০১২ সালের ৮ই মে ২৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট জমা দেন। চার্জশিটে অভিযুক্ত ২৬ আসামির মধ্যে বিচার চলাকালে তিনজনের মৃত্যু হয়। দীর্ঘ আট বছর পর সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।





অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর