× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সৌদি আরবে হামলা / যুদ্ধ চাই না, তবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আছি

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯, মঙ্গলবার, ২:০০ পূর্বাহ্ন

যুদ্ধ চান না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি বলেছেন, অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে আমরা যুদ্ধের জন্য অধিক প্রস্তুত আছি। সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুতিদের ড্রোন হামলার পর যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে তখন এমন মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তিনি আরো বলেছেন, সৌদি আরবের ওই হামলার নেপথ্যে তেহরান আছে এ বিষয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রতিশোধ নেয়ার কোনো পথ বেছে নেবেন না তিনি। হুতিরা গত শনিবারের হামলার দায় স্বীকার করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। হামলার জন্য তিনি সরাসরি দায়ী করেছেন ইরানকে। তবে ট্রাম্প সেরকম মন্তব্য করেন নি। তিনি বলেছেন, মনে হচ্ছে এ হামলার জন্য দায়ী ইরান।
তাই তিনি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ চাইছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ।
 
ওদিকে সৌদি আরবে তেলক্ষেত্রে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। শনিবার সৌদি আরবের এবং বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র আবকাইক এবং খুরাইসে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে সৌদি আরবের তেল উত্তোলন কমে যায় অর্ধেক। ফলে কয়েক দশকের মধ্যে বিশ্ববাজারে অশোধিত তেলের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়। ওই দুটি তেলক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহার করে বোমা হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম শতকরা প্রায় ২০ ভাগ বেড়ে গেছে। কিন্তু ডনাল্ড ট্রাম্পের একটি মন্তব্যের পর তা কমে শতকরা প্রায় ১০ শতাংশে এসে দাঁড়ায়। ট্রাম্প বলেছেন প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্রে তেলের যে মজুদ আছে তা ব্যবহার করা হতে পারে। এর পরই দাম কিছুটা কমে আসে।

এমন অবস্থায় হোয়াইট হাউজে একজন সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে প্রশ্ন করেন, সৌদি আরবের হামলার নেপথ্যে ইরান কিনা। জবাবে ট্রাম্প বলেন, এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্টভাবে তাই মনে হচ্ছে। আমরা আপনাদেরকে জানাবো। তারপরও বিষয়টিতে নিশ্চিত হলেই আমরা আপনাদেরকে জানাবো। তিনি আরো বলেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। কিন্তু অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে আমরা বেশি প্রস্তুত রয়েছি (যুদ্ধের জন্য)। বিষয়টি নিশ্চিত হতে সৌদি আরব সফর করবেন ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। পম্পেও বলেছেন, যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা থেকে ইঙ্গিত মিলছে যে, হামলার জন্য দায়ী ইরান।

স্কাই নিউজ লিখেছে, ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুতিদের সমর্থন দেয় ইরান। তারা বলছে, এই হামলার জন্য দায়ী তারা। এমনও সতর্কতা দিয়েছে যে, তারা আরো হামলা চালাবে। তা সত্ত্বেও আবকাইক ও খুরাইসে তেলক্ষেত্রে হামলার জন্য ইরানকেই দায়ী করছে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র। হামলায় ইরানে তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে এবং তা ইয়েমেন থেকে ছোড়া হয়নি বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য মিলেছে বলে দাবি করেছেন সৌদি আরবের সামরিক মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালকি। জাতিসংঘে তার এই মন্তব্যের প্রতিধ্বনি তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, যে তথ্য মিলছে তাতে ইঙ্গিত মেলে এই হামলার জন্য ইরান দায়ী। এ ছাড়া ইয়েমেন থেকে হামলা হয়েছে এর পক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। তবে ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই তদন্তের ওপর ভিত্তি করে তারা নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

ওদিকে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেছেন, ইয়েমেনের মানুষ তাদের প্রতিরক্ষার বৈধ অধিকার চর্চা করছে। বছরের পর বছর ধরে তাদের বিরুদ্ধে যে আগ্রাসন চলছে তার পাল্টা প্রতিশোধের অংশ ছিল ওই হামলা। ইরানের বার্তা সংস্থা ইনসা রিপোর্ট দিচ্ছে যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পাচার করে ডিজেল দেয়ার সময় পারস্য উপসাগরে একটি জাহাজকে জব্দ করেছে ইরানের রেভুল্যুশনারি গার্ডস। এখানে উল্লেখ্য, এ অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতার লড়াই চলছে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে। ফলে তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বড় এক অচলাবস্থা। ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব। তাদের সঙ্গে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতও। ফলে এটাকে অনেক সময় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে একটি প্রক্সি যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর