বিড়ি ব্যবসায়ী ও ইদ্রিস এন্ড কোম্পানির মালিক ইদ্রিস মিয়ার বিরুদ্ধে নারীকর্মীকে যৌন হয়রানি, জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপদস্থ করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল জামালপুর জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ইদ্রিস এন্ড কোম্পানি প্রাইভেট লি: এর সাবেক ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবদুুল কাদের। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, বিড়ির প্যাকেটে ব্যবহৃত প্রতিটি ব্যান্ডরোল সরকারের কাছ থেকে ৬ টাকা ৮৭ পয়সা মূল্যে কিনে ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু রশিদা বিড়িতে জাল ও বিভিন্ন দোকান থেকে ৫০ পয়সায় পুরাতন ব্যান্ডরোল কিনে তা ব্যবহার করে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। রাজস্ব ফাঁকির ঘটনায় ইদ্রিস মিয়ার বিরুদ্ধে মামলাও চলমান রয়েছে। এছাড়াও কোম্পানির এক নারী কর্মীকে যৌন হয়রানি ও নির্যাতন, বিনা নোটিশে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা, চাকরিচ্যুত ও পদত্যাগীদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। তারা বলেন, কোম্পানির নয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে বিভিন্ন অজুহাতে জামালপুর ও শেরপুর জেলায় প্রায় ৮টি মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, যাতে করে প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ পাওনাদি পরিশোধ করতে না হয়। সংবাদ সম্মেলনে হয়রানির শিকার ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।।