× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিঙ্গাদের এনআইডি / চট্টগ্রামে আটক ইসি কর্মচারীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার

চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা নারীর জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ ও ডেটা সার্ভারে অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা নাগরিকের তথ্য নিবন্ধনে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের এক কর্মীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার নগরীর কোতোয়ালি থানায় জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ও ডিজিটাল আইনে মামলাটি করেন ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক মো. জয়নাল আবেদীন (৩৫) সহ তিনজনকে আটক করা হয়।
অন্য দুজন হলো- বিজয় দাস (২৬) ও তার বোন সীমা দাস ওরফে সুমাইয়া আক্তার (২৪)। বিজয় ও সুমাইয়া পটিয়া উপজেলার মৃত হারাধন দাসের সন্তান। বিজয় দাস পেশায় গাড়িচালক ও সুমাইয়া চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আয়া পদে অস্থায়ীভিত্তিতে কর্মরত আছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সাগর ও সত্যসুন্দর দে নামের আরো দুইজনের ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য দেয়।
চট্টগ্রাম মহানগর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, সোমবার রাতে আটক তিনজনসহ মোট পাঁচজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন শুধু নির্বাচন অফিসের কর্মচারী।
তাদেরকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান জানান, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গত মাসে জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে আসা লাকি আক্তার নামে এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করা হয়। এ ঘটনার পর ইসি’র পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে আমরা তথ্য পাই, আমাদের অফিসের কেউ কেউ এর সঙ্গে জড়িত।
এরপর অনুসন্ধান ও অভিযান চালিয়ে গত তিনদিনে কক্সবাজার থেকে প্রথমে একজন ও পরে পাঁচ জনসহ মোট ছয় জনকে আটক করি। এদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় আমরা ডবলমুরিং থানার অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করি।
তার হেফাজতে নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্স করা একটি ল্যাপটপ ছিল। সেটি কোথায় আছে জানতে চাইলে প্রথমে সে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে সে জানায়, ল্যাপটপটি তার বন্ধু বিজয় দাসের কাছে আছে। তার মাধ্যমে আমরা বিজয় দাসকে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে হাজির করি।
বিজয় দাস জানায়, ল্যাপটপটি তার বোন সীমা দাস ওরফে সুমাইয়ার কাছে আছে। তাদের মাধ্যমে সুমাইয়াকে ল্যাপটপটি অফিসে আনতে বলা হয়। সুমাইয়া এলে তাকেও আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা কীভাবে এনআইডি জালিয়াতি করেছে তার বিবরণ দেন। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, লাইসেন্সকৃত ল্যাপটপটি ব্যবহার করে ওয়েবক্যাম দিয়ে ছবি তোলাসহ জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজই করা যায়। জাতীয় তথ্যভাণ্ডারে এন্ট্রিও দেয়া যায়। এই ল্যাপটপটি ব্যবহার করেই তারা এনআইডি জালিয়াতি করেছে। এই চক্রের সঙ্গে আরো কর্মচারী জড়িত থাকার তথ্য আছে। তাদেরও পর্যায়ক্রমে তদন্তের মাধ্যমে বের করা হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার করা বা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেয়ার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত আছে বলে মনে করছি না। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর