× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জিতলে ফাইনাল, নয়তো...!

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত আফগানিস্তানের। দুই প্রতিপক্ষ স্বাগতিক বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতেছে টানা দুই ম্যাচ। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন তালিকার শীর্ষে। অন্যদিকে এক ম্যাচ জিতে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের সামনে সুযোগ আজই ফাইনাল নিশ্চিত করার। জিম্বাবুয়েকে হারাতে পারলেই এটি সম্ভব। তাই চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টাইগারদের জন্য অপেক্ষা করছে বড় এক চ্যালেঞ্জ। কারণ রশিদ খানের দলের বিপক্ষে টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতে হেরে গেছে সাকিব আল হাসানের দল। ক্রিকেটে নবগাত দলটির বিপক্ষে একের পর এক লজ্জার হারে চাপে আছে টাইগাররা।
আর এমন চাপে থাকা বাংলাদেশকে উড়িয়ে ফাইনালের স্বপ্ন দেখছে মাসাকাদজার দলও। তবে এই জন্য তাদের পাড়ি দিতে হবে কঠিন পথ। শুধু বাংলাদেশকে হারালেই হবে না, শেষ ম্যাচে জিততে হবে আফগানদের বিপক্ষে। টাইগার অধিনায়ক সাকিব অবশ্য চট্টগ্রামেই ঘুরে দাঁড়ানোর অপেক্ষায়। জানিয়েছেন সব বাধা উড়িয়ে জয়ে ফিরবেন তারা।
জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা দারুণ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্ত পরের ম্যাচেই ছন্দপতন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে যায় ২৫ রানের ব্যবধানে। টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে টাইগারদের চেয়ে তিন ধাপ এগিয়ে থাকা আফগানরা আবারো সাকিবদের দিয়েছে লজ্জা। এর আগে তারা নিজেদের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে বাংলাদেশকে ২২৪ রানে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে। টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে গোটা বাংলাদেশ দলকে দেখা গেছে নড়বড়ে। দলের মধ্যে দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে অদৃশ্য বিশৃঙ্খলা। অধিনায়ক সাকিব নিজেই দলকে নেতৃত্ব দিতে খুব একটা আগ্রহী নয়। তার বিকল্পও কাউকে পাচ্ছে না বিসিবি। সব মিলিয়ে মাঠে ও মাঠের বাইরে নানা ঘটনাতে দারুণ চাপে বাংলাদেশ। আর সেই সুযোগ নিয়ে জয় তুলে নিতে চায় জিম্বাবুয়ে। এ বিষয়ে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার শন উইলিয়ামস বললেন, ‘সুযোগ কাজে লাগাতে আমাদের কাজগুলো ঠিক মতো করতে হবে। আমরা যদি নিজেদের কাজ মন দিয়ে করতে পারি, বাকি সব আপনা আপনি ঠিক হবে। আমরা জানি, ওরা চাপে আছে। কিন্তু আমাদের মৌলিক দিকগুলো ঠিকঠাক করতে হবে।’ তাদের এমন আত্নবিশ্বাসের কারণও আছে। প্রথম দেখাতে বাংলাদেশের সঙ্গে হারলেও সেই ম্যাচ তারা প্রায় জিতেই গিয়েছিল। টাইগারদের ৬০ রানে তুলে নিয়েছিল ৬ উইকেট। তবে বাংলাদেশকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান তরুণ আফিফ হোসেন। তার ২৬ বলে ৫২ রান ৩ উইকেটে জেতায় বাংলাদেশকে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের গত ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে হারের পর বাংলাদেশ দলেও এসেছে বড় পরির্তন। দলে ডাকা হয়েছে তরুণ তিন ক্রিকেটারকে। এর মধ্যে খুব পরিচিত মুখ নাজমুল হোসেন শান্ত। এরই মধ্যে এই তরুণ জাতীয় দলের হয়ে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাাচ খেলেছেন। যদিও নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারপরও তার উপর ভরসা রাখা হয়েছে টি-টোয়েন্টিতে। অবশ্য দলে নিলেও তাকে খেলানো হবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সংশয়। কারণ এরই মধ্যে দলে জায়গা পেয়েও না খেলে বাদ পড়েছেন তিন জন। এর মধ্যে পেসার ইয়াসিন আরাফাত মিশু বাদ পড়েছেন ইনজুরি কারণে। আর প্রথম ম্যাচের পর দলে ডাক পাওয়া আবু হায়দারও রনিকে না খেলিয়েই বাদ দেয়া হয়।  দলে ফেরা মেহেদী হাসানের একই অবস্থা। এ নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইয়াসিনের তো ইনজুরি। পিঠে আর পাঁজরে ব্যথা। ওকে রাখার উপায় ছিল না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ইয়াসিনের ইনজুরির কারণেই কাভার হিসেবে রনিকে (আবু হায়দার) নেয়া হয়েছিল। ম্যাচের দিন কোনো পেসার হুট করে ইনজুরিতে পড়তে পারতো। সেজন্যই বিকল্প হিসেবে রনি ছিল।’ তাদের বদলে দলে ডাক পাওয়া ওপেনার নাঈম শেখ ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বড় চমক। এছাড়াও ফেরানো হয়েছে দুই পেসার রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলামকে। তাই এবার চট্টগ্রামে একাদশ কেমন হবে তা নিয়ে সবার দারুণ আগ্রহ। তবে একাদশ যেমনই হোক বাংলাদেশ যেন জয়ে ফেরে এটাই থাকবে সবার প্রত্যাশা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর