× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আসামে কঠিন পরীক্ষার মুখে বাংলাভাষীরা

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

আসামে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছেন বাংলাভাষীরা, বিশেষ করে মুসলিমরা। এখানে ওখানে তাদের গতিরোধ করা হচ্ছে। না, সরকারি কোনো সংস্থার লোকজন নয়, স্থানীয় উগ্র কিছু মানুষ তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করছে। প্রমাণ দিতে হচ্ছে, তারা ভারতীয়, বাংলাদেশি নন। এমন ঘটনা আসামের পূর্বাঞ্চলের ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া সহ বিভিন্ন স্থানে ঘটছে। আসাম থেকে যাওয়া কমপক্ষে ২৩০ জন মানুষকে চেকপয়েন্টে তল্লাশির মুখোমুখি হতে হয়েছে মেঘালয়ে। তবে ১৩ই সেপ্টেম্বর মুসলিম সম্প্রদায়ের চারজনকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। এ সময় তাদেরকে ‘বাংলাদেশি’ বলে অভিযুক্ত করা হয়।
তাদের সঙ্গে ভারতীয় প্রমাণের কোনো ডকুমেন্ট না থাকায় তুলে দেয়া হয় পুলিশে। পরে পুলিশ যাচাই বাছাই করে জানিয়েছে তারা বাংলাদেশি নন। এমন ঘটনাকে অনলাইন দ্য হিন্দু ইংরেজিতে ‘মব’ বা দাঙ্গা হিসেবে অভিহিত করেছে।

পত্রিকাটির খবরে আরো বলা হয়েছে, আসামের বাকসা জেলায় এমন ‘বাংলাদেশি পরীক্ষা’ দিতে হয়েছে চার বাংলাভাষীকে। তারা হলেন- সাহিদ মিয়া, তার স্ত্রী বিমলা বেগম। তারা বাকসা জেলার অধিবাসী। অন্য দুজন হলেন বারপেটার লালবর আলী ও মরিগাঁওয়ের আবদুল কাইয়ুম। তারা সবাই বাংলাভাষী মুসলিম। ১৩ই সেপ্টেম্বর ভবন নির্মাণের সরঞ্জাম নিয়ে একটি পিকআপে করে গুয়াহাটি থেকে সোহাগপুরে যাচ্ছিলেন তারা। সময়টা ছিল রাত। এক পর্যায়ে পথে প্রায় ৫০ জনের স্থানীয় একটি দল তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। নামিয়ে নেয় ওই চার বাংলাভাষীকে। তাদেরকে এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্তির প্রমাণ দেখাতে বলে। কিন্তু ব্যর্থ হন তারা। ফলে উত্তেজিত ওইসব মানুষ তাদেরকে আটক করে তুলে দেয় গোরেশ্বর পুলিশ স্টেশনে। সেখানকার অফিসার ইনচার্জ এইচ গোস্বামী বলেছেন, উত্তেজিত জনতা তাদেরকে বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু যাচাই বাছাই শেষে আমরা দেখতে পেয়েছি তারা অবৈধ অভিবাসী নন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর