× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইসলামপুরে দু’বছরেও সংস্কার হয়নি আগুনে পোড়া ২০টি ঘর

দেশ বিদেশ

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

পর পর দু’বারে আগুন লেগে পুড়ে গেছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের কান্দারচর আদর্শ গ্রামের ২০টি পরিবারের ২০টি ঘর। এর দু’বছর অতিক্রান্ত হলেও আজও ঘরগুলোর সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগ কোনো নেওয়া হয়নি। আগুনে সর্বস্বহারা আশ্রিতদের একমাত্র আশ্রয়স্থলটুকু বসবাসে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় আজ আবারো তারা ভাসমান। যাদের যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই তারা পোড়া ঘরেই যাপন করছেন পশুর ন্যায় মানবেতর জীবন।
জানা যায়, ২০১৮ সালের মার্চ মাসের দিকে বিদ্যুতের আগুনে পুড়ে যায় কান্দারচর আদর্শ গ্রামের ১০টি ঘর। এর আগের বছর একই কারণে আরও ১০টি ঘর পুড়ে। ঘর ছাড়াও আগুনে পুড়ে যায় আশ্রিতদের আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও গবাদিপশু। আগুনের লেলিহান শিখায় সর্বস্বহারা মানুষগুলো আবারও আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন। রাত কাটে খোলা আকাশের নিচে।
অপেক্ষায় থাকে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্যের। কিন্তু দিন গিয়ে মাস গড়ালেও তাদের সাহায্যের দেখা মিলে না। নিরাশ হয়ে আগুনে পোড়া মানুষগুলো নিজের আবাসস্থলটুকু মেরামতের আশায় ছোটাছুটি করতে থাকে এখানে সেখানে। অবশেষে কার্যত কেউ আর পাশে দাঁড়ায়নি এই ভাগ্যাহত মানুষগুলোর। মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁইটুকুও বসবাসে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে তারা আবারো ভাসমান জীবনযাপন করছেন। চরপুটিমারি ইউনিয়নের কান্দারচর আদর্শ গ্রাম গিয়ে জানা যায়, আগুনে পোড়া ঘরগুলো আর মেরামত করতে না পারায়, পাষাণ মোল্লা, আজাহার মোল্লা, ঈমান আলী, আমির হামযা ও বাচ্চু মিয়াসহ অনেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাসমান জীবনযাপন করছেন। যাওয়ার জায়গা নেই বলে পোড়া ঘরেই পশুর ন্যায় বসবাস করছেন দোলোয়ার, ফিরোজ ও ফরিদারা।
এ ব্যাপারে আগুনে সবহারা দেলোয়ার বলেন, আগুনে পোড়ার পর অন্তত ঘরের চালাটি ঠিক করার জন্য কিছু টিন চেয়ে স্থানীয় প্রতিনিধি থেকে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু কেউ দেয়নি। শুধু আমি নই, আজ দুই বছরেও আগুনে ঘর পোড়া কেউ কোনো সাহায্য পায়নি। কেউ এই মানুষগুলোর কথা ভাবেনি। অগত্যা আমরা কয়েকজন ভাঙা ঘরেই পশুর ন্যায় বসবাস করছি। বিদ্যুৎ নেই, একটু বৃষ্টি হলেই চালা দিয়ে পানি পড়ে। তারপরেও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে অন্ধকারে জীবনযাপন করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মেহেদী হাসান টিটু জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা জেলায় পাঠিয়েছি বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। জানলাম। আমি কিছু করার চেষ্টা করব, বলেও জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর