শুধু র্যাঙ্কিং নয়, মাঠের পারফরম্যান্সেও যে এগিয়ে সেটার প্রমাণ দিলো জাপান । কোচ মিসিহিসা কানো আরো আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার কথা জানিয়েছিলেন। মাঠে তার শিষ্যরাও করলেন তাই। গতকাল এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় ম্যাচে জাপানের কাছে ৯-০ গোলে হার দেখে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৫ গোল হজম করে মারিয়া মান্ডা বাহিনী। দ্বিতীয়ার্ধে আরো চারবার বাংলাদেশের জালে বল জড়ায় তারা। বড় জয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার পথে এগিয়ে থাকলো জাপানি মেয়েরা। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যদের।
জাপানের হয়ে দুটি করে গোল করেন মাইকা হামানো, অধিনায়ক ময়ি ওটা, রিরিকা তানো ও মোমোকো নেবু। এক গোল করেন মানাকা হায়াসি।
থাইল্যান্ডের চনবুরিতে গতকাল ম্যাচের ফলাফল যেন বাংলাদেশের মেয়েদের অবনতির গ্রাফটাই তুলে ধরেছে। দুই বছরের মধ্যবর্তী সময়ে মারিয়া মান্ডারা যেন ফুটবল খেলাটাই ভুলে গিয়েছে। গোলের ব্যবধানে ৬ গোল বেশি হজম করা তো অনেক পিছিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিতই। ২০১৭ সালে প্রথমবার এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে গিয়ে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জাপানের কাছে ৩-০ গোলের হারে তেমন গ্লানি ছিল না। কিন্তু দুই বছর পর সেই দলের বেশ কিছু খেলোয়াড় নিয়ে গড়া জাপানের বিপক্ষে ৯-০ গোলের হার মেনে নেয়া কঠিন। ৯-০ গোলের স্কোর লাইনের ম্যাচের নিয়ে কাঁটাছেড়া না করলেও চলছে। স্পষ্টত জাপানের মেয়েদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। বলের নিয়ন্ত্রণ, গতি ও স্ট্যামিনা সবকিছুতেই এগিয়ে ছিল জাপানিজরা। প্রথমার্ধে ৫ গোল হজমের পর মনে হচ্ছিল অনেক বড় ব্যবধানে হারতে যাচ্ছে গোলাম রাব্বানির শিষ্যরা। সে তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে ৪ গোল হজম কমই। নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক থাইল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে মারিয়ারা।