× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে এনআরসি নিয়ে আলোচনা হবে

শেষের পাতা

কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে আসামের নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি)সহ দ্বিপক্ষীয় সব বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এবং আগামী ৫ই অক্টোবর নয়াদিল্লিতে হাসিনা-মোদি দু’দফা বৈঠক হবে। বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদানের প্রস্তুতি বিষয়ে জানাতে মন্ত্রী মোমেন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এআরসি একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এটাকে আমাদের সমস্যা মনে করি না। তবে এ নিয়ে ঢাকায় উদ্বেগ আছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিউইয়র্কে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হবে। সেখান থেকে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি সফর করবেন।
সেখানে তার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।

ওই সব বৈঠকে বিশদ আলাপ হবে। বৈঠকে দু’দেশের মধ্যকার যেসব ‘সমস্যা’ আছে তা নিয়ে কথা হবে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতায় ২০১৭ ও ’১৮ সালের মত এবারও রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিতে পারেন জানিয়ে মন্ত্রী মোমেন বলেন, বাংলাদেশ মনে করে ’১৭ সালের জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ৫ দফা এবং ’১৮ সালে দেয়া ৩ দফা প্রস্তাব এখনও প্রাসঙ্গিক। এসবের সমন্বয়ের বাংলাদেশের সরকার প্রধান নতুনভাবে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিতে পারেন। প্রত্যাবাসন যেন দ্রুত হয় এবং রোহিঙ্গারা যেন নিরাপত্তা ও সুরক্ষা পায়, রাখাইনে তাদের চলাফেরায় যেন স্বাধীনতা থাকে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলতে পারেন। আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন। অধিবেশনের সাইড লাইনেও প্রধানমন্ত্রী ওআইসিসহ বিভিন্ন সংস্থার আয়োজনে রোহিঙ্গা বিষয়ক বেশ ক’টি ইভেন্টে বক্তৃতা করবেন। এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান মিয়ানমারকে নিয়েই করতে হবে। বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে গত দুই বছরে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশের প্রশংসা এবং সমর্থন এখন দুনিয়াজুড়ে। মন্ত্রীর দাবি- মিয়ানমারের বন্ধুরাও এখন বাংলাদেশকে সমর্থন করছে।

চীন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যথেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে। জাতিসংঘ অধিবেশনের সাইডলাইনে চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বৈঠক হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পুঞ্জীভূত ওই সংকট সমাধানে বাংলাদেশ আশাবাদী। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন এবং বাংলাদেশের অবস্থান সংক্রান্ত এক প্রশ্নে জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, পাকিস্তান এ ইস্যুতে তাদের অবস্থান আমাদের জানিয়েছে টেলিফোনে। আমরা মূলত তার কথা শুনেছি এবং আমাদের অবস্থানটাও তাদের জানিয়েছি। মন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর ইস্যুুটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই আমরা মনে করি। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল প্রসঙ্গে আমরা বলেছি, এটা ভারতের সংসদের তৈরি আর্টিকেল। তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে বাংলাদেশ শান্তি চায়, মানুষের উন্নয়ন চায়। উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। সপ্তাহব্যাপী সরকারী ওই সফরে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে ব্যস্ত সময় কাটাবেন। সেখানে জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মসূচী ছাড়াও মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। একাধিক অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ এবং বাংলাদেশী কমিউনিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। ২৯শে সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর