রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তর নির্মাণে জমি দখলের অভিযোগ এনে মামলা করবে জেলা পরিষদ। জমি দখল নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে দিলেও জমি ফিরে দেয়ার কোনো লক্ষণ দেখছে না জেলা পরিষদ। তাই জমি রক্ষায় জেলা পরিষদ আইনের আশ্রয় নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল জেলা পরিষদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, সভার পাঁচ নম্বর সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখার জন্য আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে আদালতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে জমি রক্ষা করা হবে। মামলা পরিচালনার জন্য জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আলেফ আলীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গতকাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দপ্তরে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত জেলা পরিষদের এক নম্বর সদর ডাকবাংলোর জমিতে আধুনিক মানের আরেকটি ডাকবাংলো নির্মাণ করা হবে। তাই কোনো জমি বিক্রি করা হবে না। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের গঠন করে দেয়া কমিটিতে জেলা পরিষদের নির্বাচিত কোনো প্রতিনিধিকে না রাখায় সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। ওই কমিটি পুনর্গঠনের আহ্বান জানানোরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার।
অন্যদের মধ্যে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ নাঈমুল হুদা রানা, জেলা পরিষদের সদস্য রবিউল আলম, নার্গিস বেগম, জেলা আবুল ফজল প্রামাণিক, আবদুস সালাম, মোফাজ্জল হোসেন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য জয়জয়ন্তী সরকার মালতি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজশাহী মহানগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জেলা পরিষদের ৪৭ শতক জমি দখল করে আরএমপির সদর দপ্তর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ভেঙ্গে ফেলা হয় জেলা পরিষদের ঐতিহ্যবাহী একটি ডাকবাংলোও। এ নিয়ে জেলা পরিষদের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়ায়। গেল ২২শে আগস্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এই জটিলতা নিরসনে একটি কমিটি গঠন করে দেয়। গত মঙ্গলবার কমিটির সদস্যরা জমি পরিমাপ করে দেখেন। সেখানে আরএমপি তাদের সীমানা ছাড়িয়ে জেলা পরিষদের ৪৭ শতক জমির ভেতরে ভবন নির্মাণ কাজ করছে বলে প্রমাণ মেলে।
ওই দিন মন্ত্রণালয় কমিটির আহ্বায়ক ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নুর-উর-রহমান জানিয়েছিলেন, বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।