× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

বাংলারজমিন

জাবি প্রতিনিধি
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলে উপাচার্যকে পদত্যাগের জন্য আগামী ১লা অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এছাড়া উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষার হল পরিদর্শনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তারা। গতকাল দুপুরে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের কার্যকরী সদস্য রাকিবুল রনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্রলীগ নেতা ভাগবাটোয়ারার টাকা পেয়েছেন তারা স্বীকার করেছেন। জনগণের টাকা থেকে আপনি লুটপাট করবেন আর হাসি তামাশা করবেন তা হতে পারে না। আপনার পদত্যাগের মাধ্যমে রেহাই হবে না, আপনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
শাস্তির মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নেন। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, এই উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি লুটপাটের কারখানা বানিয়েছেন। আপনি ছাত্রলীগ নেতাদের ২৫ লাখ টাকা ঈদ সালামি দিয়েছেন। কিন্তু আপনি প্রমাণ করতে পারেন নাই সালামির টাকার আয়ের উৎস কোথায়? আপনি নিজেই জানেন আপনি দুর্নীতি করেছেন। ফলে নিজেই সিদ্ধান্ত নিন সসম্মানে পদত্যাগ করবেন কি না! যদি না করেন তাহলে আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাকে টেনে হিঁচড়ে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করা হবে। অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, তিনি উপাচার্য পদে আসীন হওয়ার পর থেকে একের পর এক দুর্নীতি করে আসছেন। প্রকল্পের টাকা বণ্টনে উপাচার্য, তার স্বামী, পুত্র সবরকম অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। দুর্নীতিবাজ উপাচার্য হিসেবে আপনি প্রমাণিত। ফলে তিনি উপাচার্য পদে বহাল থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। অতিদ্রুত পদত্যাগ করেন, না হয় আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে হবে যা আপনার জন্য আরও অসম্মানজনক হবে। অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পকে ব্যবসা ক্ষেত্রে পরিণত করেছেন। উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার বিচার রাষ্ট্রীয় আইনে চাই। আমরা আসন্ন ভর্তি পরীক্ষার সময় উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। কারণ এই অভিযোগ ওঠার পরে আমাদের কর্মস্থলে আর উপাচার্যকে দেখতে চাই না। উপাচার্যকে ১লা অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে উপাচার্যের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে বাধ্য হব। সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মারুফ মোজাম্মেলের সঞ্চালনায় পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খবির উদ্দিন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তসলিমা সুলতানা, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারেক রেজা, সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন শিশির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর