× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পুরস্কারের অর্থমূল্য ৩৩ কোটি টাকা /শিক্ষায় ইদান প্রাইজে ভূষিত ফজলে হাসান আবেদ

প্রথম পাতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ‘ইদান’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ার ইমেরিটাস স্যার ফজলে হাসান আবেদ। শিক্ষা উন্নয়নে যুগান্তকারী অবদান রাখায় তাকে এ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করে হংকংভিত্তিক ইদান প্রাইজ ফাউন্ডেশন। ব্র্যাকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইদান প্রাইজ নামে এই পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রায় ৩৩ কোটি টাকা, যা নগদ ও প্রকল্প তহবিল হিসেবে সমান দুই ভাগে দেয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমন্বিত পদ্ধতিতে আনন্দময় পরিবেশে খেলাধুলার মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে পাঠদানের আয়োজন করে আসছে ব্র্যাক। বাংলাদেশে ব্র্যাকের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্কুলগুলোতে ৫ দশক ধরে অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ শিশু শিক্ষা নিয়েছে।

ব্র্যাক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, কিশোর-কিশোরীদের জন্য বিশেষায়িত শিক্ষাকেন্দ্র এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
ফজলে হাসান বলেন, শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করতে শৈশবেই অনুকূল পরিবেশে শেখার সুযোগ করে দেয়াটা জরুরি। তিন থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য খেলায় খেলায় শিক্ষালাভের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করে থাকে ব্র্যাক। এর মধ্যে শরণার্থী শিবিরের শিশুরাও আছে, যারা নানাবিধ মানসিক সমস্যা নিয়ে বড় হচ্ছে।
শৈশবেই খেলাধুলা এবং হাসিখুশি থাকার পর্যাপ্ত সুযোগ দিলে তারাও সুস্থ মানুষ হিসেবে বড় হয়ে উঠতে পারবে। আমি আশা করি, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে এর উন্নয়ন ও প্রসারে এগিয়ে আসবেন। ইদান পুরস্কার থেকে পাওয়া অর্থ ব্র্যাকের শিক্ষা কার্যক্রম বিস্তারে বিশেষ সহায়ক হবে মন্তব্য করে বলেন, পুরস্কারের অর্থ শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার এবং নতুন নতুন প্লে ল্যাব প্রতিষ্ঠায় ব্যবহার করা হবে। ডিসেম্বরে হংকংয়ে অনুষ্ঠানে ফজলে হাসানের হাতে পুরস্কারের অর্থের সঙ্গে সম্মাননাসূচক একটি স্বর্ণপদকও তুলে দেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ইদান প্রাইজ ফাউন্ডেশন দুটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পুরস্কারটি দিয়ে থাকে- শিক্ষা গবেষণা ও অপরটি শিক্ষা উন্নয়ন। এবছর শিক্ষা গবেষণার জন্য পুরস্কার পাচ্ছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কগনিটিভ ডেভেলপমেন্টাল নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক ঊষা গোস্বামী।

আগামী ডিসেম্বরে হংকংয়ে ইদান প্রাইজের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে। সেখানে স্যার ফজলে হাসান আবেদকে একটি স্বর্ণপদক এবং পুরস্কারের অর্থমূল্য বাবদ ৩০ মিলিয়ন হংকং ডলার বা ৩৩ কোটি টাকা দেয়া হবে। পুরস্কারের অর্থ নগদ এবং প্রকল্প তহবিল দুই ভাগে ভাগ করে দেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর