× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপের ব্যাখ্যা চাইলো মার্কিন আদালত

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯, শুক্রবার, ৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

কাশ্মীরের স্বশাসনের অধিকার বাতিল ও সেখানে ক্রমবর্ধমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশনা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। এ নির্দেশনায় নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কানওয়াল জিৎ সিংকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আগামি ২১ দিনের মধ্যে তাদেরকে কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের ব্যাখ্যা দিতে হবে। এ খবর দিয়েছে করাচীভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন।

আগামি ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি যৌথ সমাবেশে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির। এরইমধ্যে সেখানকার আদালতে তার সরকারের বিরুদ্ধে এমন নির্দেশনা জারি করা হলো। এর আগে টেক্সাসের হাউসটনে একটি জেলা আদালতে কাশ্মীর-খালিস্তান রেফারেন্ডাম ফ্রন্ট একটি অভিযোগ দাখিল করে। তার ভিত্তিতেই ওই আদালত এই নির্দেশনা জারি করলো। অভিযোগে বলা হয়, মোদি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার গত ৫ই আগস্ট কাশ্মীরের স্বশাসনের অধিকার বাতিল করে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে দেশটি।
একইসঙ্গে সেখানে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার কথাও তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে আছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ, যোগাযোগ বন্ধ করে অবরুদ্ধ অবস্থার সৃষ্টি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, অবৈধভাবে গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড।

অভিযোগপত্রের প্রধান বিষয় ছিলো, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বার্তা সংস্থা এপির প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন। এতে সরাসরি কাশ্মীরিদের দেয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে সেখানে চলা সহিংসতা ও ভারতীয় বাহিনীর হাতে বাছবিচারহীন গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে অর্ধশতাধিক কাশ্মীরি এপিকে জানিয়েছে, কীভাবে অবরুদ্ধ অবস্থায় তাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। স্থানীয়দের ধরা নিয়ে গিয়ে মারধর এবং কিছুক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক শক দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে এসব সাক্ষাৎকার থেকে। মার্কিন আদালত আরো বলেছে, কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনী যে নির্যাতন করেছে তার জন্য ক্ষতিগ্রস্থদের ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর