× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরাইলে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ /৪ খুঁটির মূল্য দেড় লক্ষাধিক টাকা

শেষের পাতা

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার
ফাইল ছবি

বিভিন্ন গাছের ঝোপঝাড়। সামান্য দূরত্বে কাঠ ও ফলের গাছ। বাড়ির উঠানে কাপড় শুকানোর জন্য ঝুলছে ক্যাবল (লোহা ও তামার)। এসবের মাঝখান দিয়েই সরাইল পিডিবি টেনে দিয়েছেন মোটা সার্ভিস সিঙ্গেল (এক তারের) ক্যাবল। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ওই ক্যাবল থেকেই শতাধিক গ্রাহককে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের ঘাগড়াজোর এলাকায় দেয়া হয়েছে এ সংযোগ। প্রায় আধা কিলোমিটার দূরত্বে তিন তারে লাইন দিতে ৪ খুঁটির জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চেয়েছেন বিল বিতরণকারী মো. কিবরিয়া।

তার সঙ্গে রয়েছেন হানিফ নামের আরেক কর্মকর্তা। দরদামে মিলেনি।
তাই ভোগান্তিতে পড়েছে ঘাগড়াজোর গ্রামের শতাধিক গ্রাহক। অস্থায়ী কর্মচারী কিবরিয়া  ২-৩ বছর আগে চুক্তির ভিত্তিতে চুন্টা বাজারে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মিটার বাইপাস সংযোগ দিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন। সরজমিন ঘাগড়াজোর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় আধা কিলোমিটারেরও অধিক জায়গার শতাধিক গ্রাহক গরমে ছটফট করছেন। মাটিতে পড়ে রয়েছে ডিশ লাইনের ক্যাবলের বান্ডিল। ওই এলাকার বিদ্যুতের পুরাতন ৪-৫টি খুঁটি তুলে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন পিডিবির লোকজন। গ্রামের আরেক অংশে বসানো হয়েছে নতুন পুরাতন খুঁটি। গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদির (৫০), আজিজুর রহমান (৫৩) ও হাবিবুর রহমান (৭২) জানান, ১০-১২ বছর আগে তারা প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ করে ৪-৫টি খুঁটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছিলেন। হঠাৎ করে ২-৩ মাস আগ থেকে সেখানকার পুরাতন খুঁটিগুলো তুলে নিতে থাকে পিডিবি। লোকজন বাধা দেয়। পিডিবি থামেনি। আস্তে আস্তে সেখানকার ৪টি খুঁটিই পিডিবি উঠিয়ে নিয়ে আসে। একাধারে ৩ দিন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকে ওই গ্রামের লোকজন।

মসজিদের মুসল্লি, রোগী ও শিশুরা প্রচণ্ড কষ্ট করে। ফ্রিজের মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। গরুর খামারিরা পড়ে বিপাকে। গ্রামবাসী বিষয়টি মিডিয়ার লোকজনকে গত ১৩ই সেপ্টেম্বর সকালে অবহিত করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় তরিঘরি করে পিডিবির লোকজন ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতিতেই ওই এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ দিয়েছেন। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। আব্দুল হান্নান (৩৮) নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, গ্রামের এই অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে ৪ খুঁটির জন্য কিবরিয়া ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চেয়েছেন। আমরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বলেছি। এতে রাজি হয়নি। টাকা একটু বেশি পেয়ে আমাদের বঞ্চিত করে গ্রামের আরেক অংশে খুঁটি বসানোর কাজ করছেন। আমাদের পুরাতন খুঁটিগুলোও সেখানে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের ৪-৫ দিন অন্ধকারে রেখেছেন। গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, এ কাজের সঙ্গে লাইনম্যান-বি মো. আব্দুস সবুর ও লাইনের কাজের সাহায্যকারী মো. হানিফ মিয়াও জড়িত। সরাইল পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) নওয়াজ আহমেদ খান বলেন, এ লাইনের কাজের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর