জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘বিশেষ গোষ্ঠীর এজেন্ডা’ বাস্তবায়ন না করার আহবান জানিয়েছেন ভিসিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহবান জানানোর পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষাসহ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে মোড় ঘুরিয়ে শিক্ষার্থীরা সাবেক ভিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির ও প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেনের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে।
শিক্ষকদের এ সংগঠনটি বলছে, আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক যখন সফল হয়, তখনই তা ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য ওই সাবেক ভিসি এবং বর্তমান প্রো-ভিসি ষড়যন্ত্রমূলক ফোনালাপের সংলাপ তৈরি করেন। সেই ষড়যন্ত্রে একটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকে ব্যবহার করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফোনালাপে ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কাল্পনিক দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। এরকম পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকা খুবই জরুরি বলে মনে করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী দুই শিক্ষকের অতীত তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ কথা কারও অজানা নয় যে, দুর্নীতিবাজ হিসেবে এ ক্যাম্পাসে তারা খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। এদেরই একজন ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষে আপন ভাগ্নে ভর্তি করতে গিয়ে ‘দুর্নীতি পরায়ণতা এবং নৈতিক অসদাচরণ’-এর অভিযোগে প্রায় একযুগ ধরে অভিযোগের দায় নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
যা প্রাথমিক তদন্তে এবং আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটি কর্তৃক নোটিশপ্রাপ্ত। অন্যজন নিয়োগ বাণিজ্য, অপ্রয়োজনে ও ব্যক্তিস্বার্থে বৃক্ষকর্তনসহ নানাবিধ দুর্নীতির দায়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ থেকে ২০১২ সালে অপসারিত হয়েছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু শিক্ষা পরিবেশের স্বার্থে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের ‘ষড়যন্ত্রের’ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের যে পথ তৈরি হয়েছে, সে পথে অগ্রসর হয়ে ‘মডেল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ বাস্তবায়নে ভিসির সঙ্গে অংশীদার হওয়ারও আহবানও জানানো হয়।
ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শনে বাধা প্রদান কিংবা অবাঞ্ছিত ঘোষণা শিষ্টাচার বহির্ভূত বলেও দাবি করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।