সাভারের আশুলিয়ায় খালার বাসায় বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী। চাকরি দেয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ করেন প্রতিবেশী দুই মুদি দোকানি তোহা মোল্লা ও মোস্তাফিজুর রহমান। পরে বিষয়টি খালাকে জানালে স্থানীয়দের সহায়তায় শুক্রবার রাতে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত ধর্ষকদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গত বুধবার বিকাল জামগড়া এলাকার হিয়ন গার্মেন্ট সংলগ্ন আইজউদ্দিনের ভাড়া বাড়িতে ধর্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের কক্ষে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভুক্তভোগী তরুণী কয়েক দিন আগেই গ্রামের বাড়ি থেকে জামগড়া এলাকায় খালা শাপলা বেগমের বাসায় বেড়াতে আসে। এরই মধ্যে দোকানে বিভিন্ন বাজার আনতে যাওয়ার সুবাদে প্রতিবেশী মুদি দোকানি তোহা মোল্লার সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং তিনি চাকরির খোঁজে ঢাকায় এসেছেন বলে জানায়। এদিকে গত বুধবার সকালে ওই তরুণীর খালা শাপলা বেগম তাকে বাসায় রেখে তৈরি পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দিতে যান।
এই সুযোগে মুদি দোকানি তোহা মোল্লা ওই তরুণীকে চাকরি দেয়ার কথা বলে জরুরিভাবে তার বাসায় দেখা করতে বলেন। পরে বুধবার বিকালে মুদি দোকানি তোহা মোল্লার কথামতো তার বাসায় দেখা করতে যায় চাকরিপ্রত্যাশী তরুণী। এ সময় তোহা মোল্লা ও তার বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান ওই তরুণীকে ঘরের ভেতরে আটকে রেখে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। পরে বাসায় ফিরে বিষয়টি তার খালাকে জানালে স্থানীয়দের সহায়তায় শুক্রবার রাতে আশুলিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাভেদ মাসুদ জানান, ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় একটি মামলা নথিভুক্ত করে অভিযুক্ত ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।