× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আড়াইহাজারে হুমকির মুখে স্কুলে যেতে পারছে না কোমলমতি দুই শিক্ষার্থী

বাংলারজমিন

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গতকাল স্থানীয় বাড়ৈপাড়া এলাকার মামলা তুলে নিতে বাদীকে আসামিপক্ষ নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা তুলে না নিলে তার স্কুলপড়ুয়া দুই সন্তানকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। প্রাণভয়ে মামলার বাদী হাসিনা ও তার স্বামীসহ তিন সন্তান নিয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমতাবস্থায় তাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। ভুক্তভোগীর ছেলে হাসিবুর স্থানীয় বাড়ৈপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ও মেয়ে নুসরাত স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ছে। নিজের বসবাসের ঘর ফেলে দশদিন ধরে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বাড়াচ্ছেন। কোনো উপায় না পেয়ে তিনি স্থানীয় খাগকান্দা ইউপির চম্পকনগর এলাকায় এক নিকটাত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এমতাবস্থায় তিনি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে আইনি সহযোগিতা চেয়েছেন।
হাসিনা জানান, বাড়ৈপাড়া এলাকার আমান গংয়ের সঙ্গে তার স্বামী আল-আমিনের বিরোধ ছিল। তাকেও বিভিন্ন সময় রাস্তায় একা পেলে উত্ত্যক্ত করা হতো। এরই জেরে সম্প্রতি রাস্তায় একা পেয়ে তার স্বামীকে দা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি বাড়ৈপাড়া এলাকার আমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে মুচলেকা দিয়ে জামিনে বের হয়ে আমাকে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। দলবল বেঁধে জোর করে বাড়িতে প্রবেশ করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করছে। এতে আমি রাজি না হলে আমার ঘরে তালা লাগিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। মামলা তুলে না নিলে তারা আমার স্কুলপড়ুয়া দুই সন্তানকে হত্যা করবে বলে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় তাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। প্রাণভয়ে আমি পরিবার নিয়ে ১০ দিন ধরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। আমি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাচ্ছি। আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হবে। মামলার বাদীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর