× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সুখবর / সিলভিয়া যেভাবে ফিরে পেলেন হারানো স্মৃতি

শরীর ও মন

অনলাইন ডেস্ক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

বৃহষ্পতিবারের সকালটা শুরু হোক একটি সুখবর দিয়ে। আর তা হলো ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিনাশ রোগে আক্রান্ত একজন রোগি যেভাবে ফিরে পেলেন তার হারানো স্মৃতি। ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেটার ম্যানচেস্টারের প্রেস্টউইচ এলাকার। মা সিলভিয়া আর পুত্র মার্ক হর্জারের বাস। দুজনই পারিবারিকভাবে একেবারেই একাকিত্বে ভোগেন। দুটি মৃত্যু তাদের যন্ত্রণা আর দুঃখের কারণ। একটি ১৯৭৭ আর অন্যটি ১৯৮৭- এই দু বছরে সিলভিয়া হারিয়েছেন তার স্বামী সন্তানকে। মার্ক তার পিতা ও ছোট ভাইকে।
সব ছাপিয়ে তাদের এই দুঃখ পরিবারটির বিষাদের বড় কারণ।
ডেইলি মিরর আরও জানায়, এরইমধ্যে তিন বছর আগে ২০১৬ তে সিলভিয়া অকষ্মাৎ আক্রান্ত হন ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রষ্ট রোগে। নর্থ ম্যানচেস্টারে জেনারেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলে। সেখানে সে ডাক্তার দেখলেই বলে ওঠতো তাকে অপহরণ করা হয়েছে। আর চিৎকার করত। কেবলই বলত, আমাকে একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে। তোমরা পুলিশ ডাকো। আমাকে বাঁচাও। সিলিভিয়া আলঝেইমার থেকে আক্রান্ত হন অ্যাপলিপসিতে। নর্থ ম্যানচেস্টার হাসাপাতালেই হয় একটি সার্জারিও। ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ডাক্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন।


দমে যাওয়ার পাত্র নন মার্ক। কারণ, একমাত্র মা তার ভরসাস্থল। পরিবারে তাদের আর কেউ নেই। খোঁজ নিতে লাগলেন কি করলে এ অবস্থার উন্নতি হতে পারে। কিছু খাবার আছে যা খেলে ব্রেইন সতেজ হয়। স্মৃতি শক্তি পায়। এগুলোর তালিকা করে খাবারের রেসিপি বদলে ফেললেন মার্ক। খাদ্য তালিকায় নানান রকমের মাছের পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে আঙুর বিশেষত ব্লু বেরি আর কাঠবাদাম যুক্ত করলেন। মায়ের সঙ্গে ক্রস ওয়ার্ড বা শব্দ নিয়ে খেলা শুরু করলেন। পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন পরিচিত আড্ডায় যোগ দিতে লাগলেন মাকে নিয়ে মার্ক। ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসতে থাকে। ২০১৬ থেকে ২০১৯। এ সময়কালে মায়ের পরিবর্তন টের পেতে লাগলেন মার্ক। দেখলেন, মা আবার পুরনো কথা মনে করতে শুরু করেছে। পাগলামি বা স্মৃতি নাশের ফলে যে ধরণের আচরণ করতেন তা একেবারেই বন্ধ হয়ে এসেছে। আশা দেখলেন মার্ক। আর মার্কের ভাষায় তা বদলে তাকে সাহায্য করেছে খাদ্যভ্যাস।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর