উত্তাল গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ জিনিয়া। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন আইন বিভাগের এই শিক্ষার্থী। তার বহিষ্কারাদেশ উঠিয়ে নেয়া হয় ১৮ তারিখে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ফেসবুক দুই দফা হ্যাক করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করা। এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের অকথ্য গালাগাল শুনেছেন। যা ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। পেয়েছেন হুমকি।
এতকিছুর পরেও দমে যাননি জিনিয়া।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপস করে নেবার কথা উঠলেও ছিলেন তার কথায় অবিচল। জিনিয়া বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। তাই আপস করবার কোনো প্রশ্নই উঠে না। আর এসব অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত। পটুয়াখালী জেলার গলাচিপার এই শিক্ষার্থী ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি সান’ এবং ক্যাম্পাস ডটকম নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
জিনিয়া তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ বানোয়াট বলে জানান। তিনি বলেন, আবাসন সমস্যা, অধিক উন্নয়ন ফি, অদৃশ্য খাতে ফি, বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত করি। এ ছাড়াও বাজেট, বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তথ্য চাই, এই কারণেই আমার ওপর ক্ষেপে যায়। আর জিনিয়া যখন তার ফেসবুকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজটা কী?’ স্ট্যাটাস দেন তাতেই ক্ষিপ্ত হন প্রশাসনের পাশাপাশি উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিন।
জিনিয়া আরো বলেন, আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছে সকল শিক্ষার্থী। আমরা মার খেয়েছি। তার পরেও দমে যাইনি। আমরা দমে যাবো না। আমাদের যৌক্তিক দাবি আমরা পূরণ করবোই।