বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার মোট ৩১ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৯ জন পশ্চিমবঙ্গে আগেই মোষ স্বীকার করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। বিচারক সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ন্যুনতম ৫ থেকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন। এবার সেই মামলার আরও ৫ আসামী দোষ স্বীকার করে আদালতে আবেদন করেছেন। এরা হলেন, ডালিম শেখ, হবিবুর রহমান, বুরহান শেখ, হাবিবুল হক ও এনামুল মোল্লা। কিছুদিন পরেই এই আবেদনের শুনানী হবে এনআইএয়ের আদালতে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়ির দোতলায় আচমকা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই বিস্ফোরণে দু জনের মৃত্যু হয়েছিল্ আহত হয়েছিল একজন। আটক করা হয়েছিল শিশু সহ দুই মহিলাকে।
ঘরে পাওয়া গিয়েছিল বিস্ফোরক তৈরির নানা সামগ্রী। এক পর্যায়ে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে জানতে পেরেছিল বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জেএমবি পশ্চিমবঙ্গসহ তিন রাজ্যে সংগঠনের জাল বিস্তার করেছে শরিয়তী শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। ইতিমধ্যেই এই মামলাল বিচার চলছে আদালতে। তবে মামলায় প্রায় ৬০০ সাক্ষী রয়েছেন। এদের মধ্যে মাত্র ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহন হয়েছে। তবে নতুন নতুন গ্রেপ্তারের ফলে নতুন করে সাপ্লিমিন্টারি চার্জশিট দিতে হচ্ছে। ফলে নতুন করে সাক্ষীদের ডাকা হচ্ছে। এই অবস্থায় মামলা যাতে বছরের পর বছর না গড়ায় সেজন্য অভিযুক্তদের আইনজীবীরা তাদের বুঝিয়েছেন দোষ স্বীকার করে নিতে। সেই মত আগে ১৯ জন এবার ৫ জন দোষ স্বীকার করতে চেয়েছেন। এই ৫ জনের ব্যাপারে বিচারক সিদ্ধান্ত নিলে মোট ২৪ জনের শাস্তি হয়ে যাবে।