হবিগঞ্জের মাধবপুরে চলন্ত বাসে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এনা পরিবহনের সুপারভাইজার মানিক মোল্লা (৪৫)কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রোববার দুপুরে সুপারভাইজারকে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত (৬) হাজির করলে বিজ্ঞ বিচারক তাহমিনা আক্তার সুপারভাইজারের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। এদিকে ভিকটিমের বয়স নির্ধারণের জন্য হবিগঞ্জের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম নিশ্চিত করেছেন। শনিবার বিকালে হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এনা পরিবহনের একটি বাস থেকে শিশু ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে বাসের সুপারভাইজার মানিক মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে মাধবপুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার মানিক মোল্লা নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের নাজির মিয়ার ছেলে। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, শনিবার বিকাল ৩টায় হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এনা পরিবহনের গাড়িতে করে বানিয়াচং উপজেলার কর্চা গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবার ঢাকা যাচ্ছিল। গাড়িটি অলিপুর অতিক্রম করার পর বাসের সুপারভাইজার ওই পরিবারের শিশু সদস্য স্কুলছাত্রীকে পেছনে সিট দেয়ার কথা বলে পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে শিশুটিকে সুপারভাইজার ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় চিৎকার শুরু করলে শিশুটির মা-বাবাসহ গাড়িতে থাকা যাত্রীরা সুপারভাইজারকে মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ইটাখোলা এলাকায় গাড়িটি আটক করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সুপারভাইজার মানিক মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিশুটির পিতা অশ্বিনী বৈষ্ণব বাদী হয়ে সুপারভাইজারকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্তভার দেয়া হয় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেমকে। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আসামির নাম ঠিকানা যাচাই-বাছাই করার জন্য নোয়াখালী সোনাইমুড়ি থানায় একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে।