স্পেনের হয়ে সর্বাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়লেন সার্জিও রামোস। তবে শনিবার ইউরো বাছাইয়ে নরওয়ের বিপক্ষে রামোসের রেকর্ডগড়া ম্যাচে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্পেন। তাতে মূল পর্বে পাওয়ার অপেক্ষা একটু বাড়লো তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নদের। মঙ্গলবার সুইডেনের সঙ্গে ড্র করলেই অবশ্য ‘এফ’ গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে ২০২০ ইউরোর মূল পর্ব নিশ্চিত করবে স্পেন।
১৬৭ ম্যাচ খেলে এতদিন স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি দখলে রেখেছিলেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ইকার ক্যাসিয়াস। ২০১০ বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে। এই সুযোগ তাকে ছাড়িয়ে গেলেন তারই এক সময়কার ক্লাব সতীর্থ রামোস। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘দেশের হয়ে ১৬৮ ম্যাচ খেলতে পারা অনেক গর্বের ব্যাপার। আমি যতবার এই জার্সি গায়ে দেই ততবারই আবেগাপ্লুত হই।
এ আবেগ কখনো বদলাবে না। আশা করি আরে বেশ কয়েকটি বছর এ জার্সি গায়ে জড়াতে পারবো।’
২০০৫ সালে স্পেনের মূল দলে অভিষেক হয় রামোসের। দলটির সোনালি প্রজন্মের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে এখনো জাতীয় দলে টিকে আছেন এ ডিফেন্ডার। ৩৩ বছর বয়সী রামোসের সামনে আরেকটি রেকর্ডের হাতছানি। আর আট ম্যাচ খেললেই ইউরোপিয়ান ফুটবলারদের মধ্যে সর্বাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড ভেঙে দেবেন তিনি। ১৭৬ ম্যাচ নিয়ে বর্তমানে যেটি দখলে রেখেছেন ইতালির কিংবদন্তি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড থেকে কিছুটা দূরে রামোস। মিসরের সাবেক মিডফিল্ডার আহমদ হাসান ১৯৯৫ থেকে ২০১২ পর্যন্ত দেশের হয়ে ১৮৪ ম্যাচ খেলেন।
টানা ছয় জয় নিয়ে নরওয়ের মাঠে খেলতে যায় স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সউল নিগেজের গোলে লিড নিয়েছিল লা রোহারা। কিন্তু চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগার ভুলে জয় বঞ্চিত হয় স্পেন। যোগ করা সময়ে (৯০+৪) নরওয়ের খেলোয়াড় ওমর আল আব্দুল্লাহকে ডিবক্সে ফাউল করেন কেপা। তাতে পেনাল্টি পায় নরওয়ে। স্পট কিক থেকে গোল করেন বোর্নমাউথ তারকা জশোয়া কিং।