× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রামগঞ্জে সংস্কার প্রকল্পের ১৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ

বাংলারজমিন

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
১৫ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার রামগঞ্জ রাব্বানীয় কামিল মাদ্রাসা ও সাউধেরখিল উচ্চ বিদ্যালয়সহ ২টি আশ্রয়ণ প্রকল্প ভবনের সংস্কার কাজে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর গত ১২ই মার্চ ২০১৯ইং তারিখে ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩০ টাক বরাদ্দ দেয়। এরই প্রেক্ষিতে রামগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া দরপত্র দেখিয়ে ওই সংস্কার প্রকল্পের টাকা কাজ না করে গোপনে আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে রাব্বানীয়া কামিল মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি আকবর আলী বরাদ্দকৃত টাকা উদ্ধারের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুদকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে গত ১৯শে সেপ্টেম্বর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানকে আত্মসাৎকৃত টাকার বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্রে জানায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রামগঞ্জ রাব্বানীয়া কামিল মাদ্রাসা আশ্রয় কেন্দ্র সংস্কারে ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৬ টাকা এং সাউদেরখিল উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র সংস্কারে ৯ লাখ, ৮০ হাজার, ২২৪ টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু রামগঞ্জ উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোশাররফ হোসেন সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে লক্ষ্মীপুর সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে ২০১৯ জুন ক্লোজিং এর মধ্যে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া দরপত্র ও বিল তৈরি করে বরাদ্দের পুরো টাকা ট্রেজারি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। এব্যাপারে আকবর আলী নামের এক ঠিকাদার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এং দুদকের মহাপরিচালকের বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাব্বানীয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এ.এস.এম মোস্তাক আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে পিআইও অফিসে যোগাযোগ করলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রথমে স্বীকার না হলেও পরে স্বীকার হয়ে সংস্কার কাজ করতে আমাদের ৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। বাকি টাকা পিআইও আস্তে আস্তে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, দুর্যোগ মন্ত্রণালয়,দুদকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দায়ের করার সংবাদ জানতে পেরে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের মাধ্যমে কাজ শেষ করতে নগদ টাকা প্রদান করেছি।
কাজ শেষ করলে বাকি টাকা পরিশোধ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, জুন ক্লোজিংয়ের কারণে সময় কম থাকায় দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সংস্কারের টাকা ফেরত যাওয়ার কারণে টাকা উত্তোলন করে রাখা হয়েছে। এখন প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে কাজ শেষ করে টাকা প্রদান করা হবে। সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার কোনো সুযোগ নাই।





 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর