× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘শিবির সন্দেহে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়’

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৫ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার

শিবির সন্দেহে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আসামিদের জবানবন্দি থেকে জানা গেছে মূলত আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আসামিদের জবানবন্দিতে হত্যার কারণ হিসেবে এমনটাই বেরিয়ে এসেছে।
গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শিগগিরই শেষ হবে জানিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, আগামী নভেম্বর মাসের শুরুর দিকেই আবরার হত্যা মামলার তদন্ত শেষ হবে। নভেম্বর মাসেই আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আবরার হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান তিনি।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, এজাহারভুক্ত ১৫ ও এজাহার বহির্ভূত চার জন নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৯জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর বাইরে আরো অনেকে পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
এদিকে, ঢাকার গুলিস্তান ও সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পুলিশের ওপর বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি। তারা হলেন, মেহেদী হাসান তামিম ও আব্দুল্লাহ আজমির। তামিম গুলিস্তান ও সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পুলিশের ওপর বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। সে নিজে বোমা বহন করে ছুড়ে মেরেছিল। আর আজমির বোমাটি তৈরি করেছিলো। এ প্রসঙ্গে সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, গত ২৩শে সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের তক্কার মোড় এলাকার জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ফরিদ উদ্দিন রুমি ও মিশুক খানকে। এদের মধ্যে রুমি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরো চারজনের কথা বলে। সেই চার জনের দুইজন হলো, তামিম ও আজমির। এরা দু’জনই খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে পাস করে বের হন। আইএসের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো সেটি তারা চারজন মিলে করেছে। এর মধ্যে একজন হলো আজমির।

আজমির একটি কোম্পানিতে সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে কাজ করে। সেখানে একটি ওয়াকিটকি ব্যবহার করে আজমির। ওই ভিডিওতে সেই ওয়াকিটকি নিয়েই ছিলো। এই গ্রুপের মোট ছয় জন অনলাইনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়ায়। তারা আইএসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলো। পুলিশের ওপর হামলা করে তারা আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছে। মনিরুল বলেন, জেএমবিতে যোগ দেয়ার আগে তারা বিভিন্ন মতাদর্শ সম্পর্কে ধারণা নেয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর