উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জগন্নাথবাড়ী মৌজার কইচা বিলের প্রায় ৬ একর জায়গা জবরদখল করে পুকুর খনন করে মাছ চাষ শুরু করে। কয়েক মাস আগে উপজেলা প্রশাসন আবুল হোসেনকে পুকুর থেকে উচ্ছেদ করে লাল নিশান টানিয়ে সীমানা চিহ্নিত করেন। পুকুরটির শ্রেণীভুক্ত নামা খাস থেকে সায়রামহলভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের নিকট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়। এজন্য পুকুরে নতুন করে মাছ না ছাড়তে তাকে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু আবুল হোসেন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই পুকুরে নতুন করে মাছ ছাড়েন এবং আরেকজনকে অবৈধভাবে লিজদেন। খবরটি জানতে পেরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজা মাসুম প্রধান, সাংবাদিক এবং থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পুকুরের সাকূল্য মাছ মেরে পরে সব মাছ ট্রাকে ভরে নগদাশিমলা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে জড়ো করা হয়।
এর মধ্যে গোপালপুর উপজেলার সকল এতিমখানার তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকা ধরে এক ট্রাক রুই-কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, শরপুঁটি মাছ এতিমখানার শিশু কিশোরদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।