× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছাগলনাইয়ায় গৃহবধূর ওপর নির্যাতন / মামলা তুলে নিতে হুমকি

বাংলারজমিন

ফেনী প্রতিনিধি
১৬ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় যৌতুকের জন্য কুলছুমা আক্তার নামে এক দরিদ্র গৃহবধূর ওপর শারীরিক নির্যাতন করেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ সতর গ্রামে এ ঘটনা ঘটলে নির্যাতিত গৃহবধূর দায়ের করা মামলায় স্বামী সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাইফুল গ্রেপ্তারের পর থেকে মামলা তুলে নিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন কুলছুমার বাবার বাড়ির লোকজনদেন নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। নির্যাতিত গৃহবধূ কুলছুমা আক্তার জানান, ৫ বছর আগে ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ সতর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য তার ওপর নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে পৌর আদালত ও থানায় একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিলে কয়েক দফায় সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে পুনরায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন গৃহবধূ কুলছুমার ওপর ফের নির্যাতন চালায়।
গত ৭ই অক্টোবর এক সন্তানের জননী গৃহবধূ কুলছুমাকে ফের যৌতুকের জন্য চাপ দেয় স্বামী সাইফুল ইসলাম।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা কেনার জন্য কুলছুমার বাবার বাড়ি থেকে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে সাইফুল। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে কুলছুমা তার বাবার বাড়ি থেকে ৩ লাখ টাকা এনে দিকে অপারগতা প্রকাশ করলে ৭ই অক্টোবর মধ্যরাতে নির্যাতন চালায় স্বামী সাইফুল ইসলাম, শাশুড়ি শিরীনা আক্তার ও মহিউদ্দিন নামে শ্বশুরবাড়ির একজন। তারা কুলছুমাকে বেধড়ক মারধর করে রাতে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরে গুরুতর আহত কুলছুমা স্থানীয়দের সহযোগিতায় মধ্যরাতে তার বাবার বাড়ি যশপুর গ্রামের খোন্দকার বাড়িতে চলে যান। বাবার বাড়ির লোকজন রাতেই কুলছুমাকে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিদন ৮ই অক্টোবর সকালে কুলছুমাকে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 
সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে ওইদিন রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসার ভার বহন করতে না পারায় একদিন পর হাসপাতাল ছেড়ে কুলছুমা তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন।
ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, নির্যাতিত গৃহবধূ কুলছুমা বাদী হয়ে গত ৮ই অক্টোবর স্বামী সাইফুল ইসলাম, শাশুড়ি শিরীনা আক্তার ও মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (মামলা নং-৯, ৯/১০/১৯) দায়ের করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি স্বামী সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

নির্যাতিত কুলছুমার বাবা কফিল উদ্দিন খোন্দকার জানান, দিনমজুরের কাজ করে তিনি পরিবার চালান। এর মধ্যে ধার-দেনা করে গুরুতর আহত মেয়ের চিকিৎসা চালাচ্ছেন। তবে মেয়ের চিকিৎসার জন্য আরো অর্থের প্রয়োজন। যা তার পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না।
অপরদিকে মামলার আসামি হয়ে কারাগারে গ্রেপ্তার থাকায় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন মামলা প্রত্যহার করতে তাদের হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর