× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটে ব্লুবার্ড স্কুলের ৫ শিক্ষকের বেহায়াপনা ভাইরাল, তোলপাড়

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৬ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার

সিলেটের ব্লুবার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ শিক্ষকের বেহায়াপনা নিয়ে তোলপাড় চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়। বিতর্ক শুরু হওয়ায় ওই ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩ জনকে পাঠদান থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, গত ১২ই অক্টোবর ব্লুবার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ শিক্ষক নিজেদের ব্যক্তিগত আয়োজনের নাচের একটি ভিডিও ‘লিটমাস পেপার-বাংলাটিভি নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন। ১ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের ভিডিওটিকে ‘ফরমালিনমুক্ত ড্যান্স’ শিরোনাম দেয়া হয়। ইউটিউবে দেয়া মাত্র ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে ‘নাগিন, নাগিন...’ হিন্দি গানের সঙ্গে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে নাচে মত্ত থাকতে দেখা যায় সহকারী শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া, হাবিবুর রহমান বাপ্পা, সুমন চন্দ্র দে ও মো. মিজানুর রহমান এবং হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান ভূঁইয়াকে।
ভিডিওটি আপলোড করেন সহকারী শিক্ষক ও এই নাচের অন্যতম পারফর্মার হাবিবুর রহমান বাপ্পা। যে চ্যানেলে এই ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে সেই চ্যানেলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিও ইতিপূর্বে আপলোড করা হয়েছে। ভিডিওটি আপলোড করার পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কয়েকজন অভিভাবকও। তারা জানান, ইউটিউব চ্যানেলটি থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষণীয় ভিডিও আপলোড করতে দেখেছেন। যে শিক্ষকরা চ্যানেলে শিক্ষণীয় বিষয় প্রচার করতেন, তারা নাচের ভিডিওটি আপলোড করে চরম অনৈতিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে এ নিয়ে নেতিবাচক সমালোচনার মুখে শিক্ষকরা ভিডিওটি অপসারণ করে নেন। কিন্তু এরই মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেছে। মঙ্গলবার ব্লুবার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে পাঠদান কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। স্কুলের সাবেক ছাত্রী ও নারী উদ্যোগতা সায়মা রহমান সুমি ফেসবুকে লিখেছেন, এরা টিচার! টিচার আসছেন শুনলে ক্লাসে পিনপতন নীরবতা নেমে আসতো। এরা কেমন টিচার? নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক আবদুল করিম কিম বলেন, স্বনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অযোগ্যতা ও অব্যবস্থাপনায় অতীত গৌরব হারাতে বসেছে। সহশিক্ষার অনন্য নজিরের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষকের কার্যকলাপ স্কুলের সুনাম ও মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। নৃত্যরত এই শিক্ষকরা ব্লুবার্ডে শিক্ষকতা শুরুর খুব বেশিদিন হয়নি। কিন্তু এর মধ্যেই সহকারী শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া ও খণ্ডকালীন শিক্ষক মো. তানভির উজ্জামানের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন চ্যাটিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর