জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের ওপর আরোপ করা সাময়িক নিষেধাজ্ঞা অবশেষে তুলে নিলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ফলে আইসিসির পূর্ণ সদস্য হিসেবেই আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারবে জিম্বাবুয়ে। এছাড়া ২০২০ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি সুপার লীগেও খেলতে পারবে দলটি, পাবে আইসিসির সকল সুযোগ-সুবিধা। ক্রিকেট বোর্ডের ওপর সরকারের অবৈধ হস্তক্ষেপের কারণে গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যপদ স্থগিত করেছিল আইসিসি।
সোমবার দুবাইয়ে আইসিসির বোর্ড সভায় আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর, প্রধান নির্বাহী মানু সাওয়াই, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান তাভেংওয়া মুকুহলানি, জিম্বাবুয়ের ক্রীড়ামন্ত্রী ক্রিস্ট্রি কভেন্ট্রি এবং স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশনের চেয়ারম্যান জেরালর্ড মোতসোয়ার বৈঠকে বসেন। সেখানেই জিম্বাবুয়ের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এক বিবৃতিতে  আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বলেন, ‘আমি জিম্বাবুয়ের ক্রীড়ামন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটিতে ক্রিকেটকে পুনরায় চালু করবেন এবং সব ধরনের সহযোগিতা প্রধান করবেন। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের জন্য তাদের ইচ্ছা এবং আগ্র খুবই পরিস্কার। তারা দেশটির ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চান।’
নেপালের মুক্তির দিনে অধিনায়কের পদত্যাগ
২০১৬ সালে নেপাল ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে সে দেশের সরকার। এ কারণে এতদিন পর্যন্ত আইসিসির সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল নেপাল। তবে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই গত অক্টোবরে নেপাল ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সামগ্রিক চিত্র পাল্টে যাওয়ায় আইসিসি তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো। আর এমন দিনেই নেপালের অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন পরশ খাদকা। গত ১০ বছর নেপাল জাতীয় ক্রিকেট দলের দায়িত্ব পালন করেন ৩১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।