× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাউজফুল যুবভারতীতে ছিল বাংলাদেশও

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৬ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার

সামপ্রতিক সময়ে ক্রিকেটে দুই দেশ মুখোমুখি হলে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে ওঠে। আর ফুটবলে দুই দলের শক্তির পার্থক্য যতই থাকুক না, উত্তেজনা ছড়িয়েছে সীমান্তের দুই প্রান্তেই। কলকাতা এমনিতেই ফুটবলের শহর। সে শহরে ৩৪ বছর পর মুখোমুখি দুই প্রতিবেশী দেশ। দীর্ঘ আট বছর পর কলকাতায় খেলতে এসেছে ভারত ফুটবল দল। তাইতো ভারত-বাংলাদেশের দর্শকদের এ ম্যাচ নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা ছিল। ৮৫ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছিল ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগেই। এদের মাঝেই ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট সাপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন, ফুটবল সাপোর্টাস ফোরামের মতো সংগঠনগুলো থেকে খেলা দেখতে আসা দর্শকেরা।
সল্টলেকের বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাই পর্বের ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ  দেখতে  স্টেডিয়াম হাউসফুল হবে এটাই স্বাভাবিক।
দীর্ঘ আট বছর পর কলকাতার মাটিতে খেলতে নামবের সুনীল-গুরপ্রিত সান্ধুরা এ কারণেই নিরাপত্তা বিষয়েও আঁটোসাটো করা হয়েছে গোটা স্টেডিয়ামকে। আগের দিন সাংবাদ সম্মেলন করে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা জানিয়েছিলেন, মোট ১৮০০ পুলিশ  মোতায়েন থাকবে  স্টেডিয়াম চত্বরে। কাল স্টেডিয়ামে চত্তরে নিরাপত্তার কড়াকরিও চোখে পড়েছে। তবে এতে মোটেও বিরক্ত ছিলেন না কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা। বাংলাদেশ থেকে যারা খেলাটি দেখতে এসেছেন তারাও বেশ খুশি। বাড়তি নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশের স্টেডিয়ামগুলোর মতো তাদের কোনো অভিযোগ নেই। এখানে সবকিছু হয়েছে নিয়মমাফিক। বাংলাদেশের গুটিকয়েক দর্শক এটাকে ধৈর্য নিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনি পাড়ি দিলেও ভারতীয়দের যেন তর সইছিলো না।
কলকাতায় সর্বশেষ বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি হয় ১৯৮৫ সালে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ২-১ গোলে
হেরেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মধ্যে আশীষ ভদ্রের গোলে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ সে ম্যাচ হেরেছিল ভবিষ্যতের জানান দিয়েই। কত কিছু হয়ে গিয়েছে মাঝের ৩৪ বছরে! সাফ ফুটবলে ভারতের সাতটি শিরোপা জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের ভাণ্ডারে একটি। আগে পাশাপাশি হাঁটলেও জোর কদমে অনেক এগিয়ে গিয়েছে ভারত। আয়োজক হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপও খেলেছে। দুই দলেরই পুঁজি কাতারের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের ফল। দোহায় স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়েছে ভারত। এর এক মাস পরেই ঢাকায় একই দলের বিপক্ষে ২-০ গোলের হারের স্মৃতি নিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশ। হোক হার তবু জামালরা নিয়ে এসেছেন এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা। সেই ম্যাচের ওপর চোখ রেখে বাংলাদেশকে সম্মান দিচ্ছেন ভারতের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিমাচও। তিনিও বাংলাদেশকে ভালো দলের সার্টিফিকেট দিয়েছেন। সে ভরসায় কলাকাতা খেলা দেখতে এসেছেন একদল ফুটবলপ্রেমী। যাদেও মধ্যে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটার্স সাপোর্টাস এসোসিয়েশন (বিসিএসএ)। বিশ্ব ঘুরে যারা সাকিব তামিমদের উৎসাহ দিচ্ছেন। সংগঠনটির সহ-সভাপতি তানভির আহম্মেদের নেতৃত্বে লাল সবুজের পতাকা হাতে তারাও এসেছেন জামাল-জীবনদের হয়ে গ্যালারি মাতাতে। বিসিএসএ’র খোরশেদ আলম আলগমীর বলেন, আমরা এর আগে বিভিন্ন দেশের স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়ে ক্রিকেট দলকে সমর্থন যুগিয়েছি। এবার ফুটবল দলকে সমর্থন দিতে এখানে এসেছি। আমারদেও বিশ্বাস ভারতকে হারিয়ে এখন থেকেই ঘুরে দাড়াবে দেশের ফুটবল। বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টাস ফোরামের শাহাদাত হোসেন জুবায়েরও আশাবাদী বাংলাদেশ ভালো করবে এই সল্টলেক স্টেডিয়ামে। কালতো সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক প্রায় একই রকম কথা বলেছিলেন। সল্টলেকে যুবভারতী স্টেডিয়ামে দর্শকদের হৃদয় ভেঙে বাংলাদেশের ফুটবলের নবজাগরণ ঘটবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর