বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের (বিএই) যৌথ আয়োজনে আগামী ৫ই নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ‘সেকেন্ড সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম।’ সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শারলোটা স্লাইটার, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বসুন্ধরা আস্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে আয়োজিত সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামে বিভিন্ন দেশের ৫০ জনের বেশি সাসটেইনেবিলিটির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর ৫টি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন।
আলোচনায় উঠে আসে পরামর্শগুলো নিয়ে সেফের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি সাসটেইনিবিলিটি রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। পরবর্তী সংস্করণগুলোতে এই রোডম্যাপের অগ্রগতি নিয়ে নিয়মিতভাবে আলোচনা করা হবে।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, গার্মেন্ট খাতের বিশ্ববাণিজ্য প্রথাগত ব্যবস্থার ওপর টিকে থাকতে পারবে না। বিশেষত চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে শ্রমিকের কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে গতানুগতিক ব্যবস্থায় উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববাণিজ্যে টিকে থাকতে টেকসই ব্যবসায়ের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। শিল্প বাঁচানোর পাশাপাশি শ্রমিকদেরও কর্মসংস্থানহীন হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে হবে।
রুবানা হক চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে শিল্পের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বলেন, এ জন্য পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ ভবিষ্যৎ ব্যবসায়ে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে টেকসই ব্যবসায়ে মনোযোগ দেয়ার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, সাসটেইনেবিলিটি গুরুত্বপূর্ণ।