× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচন ঘিরে চলচ্চিত্রাঙ্গনে ব্যাপক বিভক্তি

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পীরা সব সময় একটা কথা বলে থাকেন, আমরা সকলে মিলে একটা পরিবার। নানা সময় বিভিন্ন  ইস্যুতে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে একসঙ্গে থেকেছেন শিল্পীরা। দেশীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়নের স্বার্থে একসঙ্গে কাজও করেছেন তারকারা। তাহলে নির্বাচন এলেই কেন এই বিভক্তি? চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পীদের জন্য এফডিসিতে গঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। রাজ্জাক, আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, মাহমুদ কলি, রুবেল, মান্নাসহ অনেক শিল্পীই এই সমিতির নেতৃত্বে ছিলেন। কিন্তু সে সময় কে এই সংগঠনের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক অথবা সদস্য হবেন, এসব নিয়ে শিল্পীদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়নি। আগামী ২৫শে অক্টোবর শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। আর এ নির্বাচন ঘিরে অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক বিভক্তি।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ঘটছে একের পর এক ঘটনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিনিয়র এক অভিনেত্রী বলেন, ১৯৮৪ সালের পর থেকে শিল্পী সমিতির যে ক’টি নির্বাচন হয়েছে তার বেশিরভাগ ছিল ফেয়ার এবং সফল। উৎসব আমেজে অভিনয়শিল্পীরা একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, ভোট দিয়েছেন। এরপর দিন শেষে কোনো তারকা ভোটে হেরে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে সব ভুলে গিয়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন, গলায় ফুলের মালা দিয়েছেন। হাসি খুশি আমেজের নির্বাচন ছিল সব সময়। আর এখন তো একজন তারকা অন্য এক তারকার যেন শত্রু হয়ে গেছে। এমন সময় দেখতে চাইনি আমি। অনেকের মতে, এবারের নির্বাচনের আগে অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে, তা অন্য সময়ের নির্বাচনে এতটা চোখে পড়েনি। সবশেষ ২০১৭ সালের ৫ই মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সবশেষ নির্বাচন হয়। ঐ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল বিজয়ী হয়। রোজিনা, অঞ্জনা, রিয়াজ, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, পপি, ইমন, সাইমনসহ অনেক তারকা শিল্পী বিজয়ী হয়ে এই কমিটিতে আসেন। কমিটি গঠনের কিছুদিন পর ওমর সানী-অমিত হাসান প্যানেল থেকে বিজয়ী কার্যকরী পরিষদের সদস্য মৌসুমী ও নানা শাহ পদত্যাগ করলে কমিটির দুটি পদ শূন্য হয়। পরবর্তীকালে সমিতির কার্যনির্বাহী সংসদের মিটিংয়ে পাস করার মধ্য দিয়ে ওই দুটি পদে নিপুণ ও নিরবকে নেয়া হয়। তবে এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে যায় শিল্পীরা। চলচ্চিত্রের সিনিয়র অভিনয়শিল্পী সুচরিতা নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, চলচ্চিত্রই তো নেই এখন। তাহলে নির্বাচন নিয়ে সংগ্রাম করে কি হবে। আমি নির্বাচনকে ঘিরে অনেক কিছুই শুনছি। তবে এসব বিষয়ে মাথা কম ঘামানোর চেষ্টা করি। সকলে মিলে কাজের জায়গায়টা বাড়াতে হবে। চলচ্চিত্র শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে হবে। বিভক্তি আশা করি না।  ভোট দিতে যাব আমি। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নেননি রিয়াজ, নিপুণ, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, পপি, নিরব, সাইমনসহ অনেকে। অথচ এদের প্রত্যেকে এবার নির্বাচনে বিভিন্ন পদে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ছিল। তারা এবারের নির্বাচনে নেই কেন? এমন প্রশ্ন অনেকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে চিত্রনায়িকা পপি বলেন, প্যানেল প্রস্তুত করেই নিজের মতো করে নির্বাচনের তারিখ তাড়াহুড়া করে ঘোষণা দিয়েছেন এক পক্ষ। অন্যদের প্যানেল গোছানোর সময়ই দেয়া হয়নি। এটি ক্ষমতার অপব্যবহার। ফিল্মে নোংরা রাজনীতি প্রবেশ করেছে। বিশেষ করে শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে এটা হচ্ছে। তাই আর নির্বাচন করার ইচ্ছা হয়নি আমার। এমনকি ভোট দিতে যেতেও ইচ্ছে করছে না এখন। অন্যদিকে বেশিরভাগ তারকা বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। অন্যায়ভাবে ভোটারদের সদস্যপদ থেকে বাদ দেয়ার অভিযোগ এসেছে এবার। গঠনতন্ত্রের নিয়ম সঠিকভাবে মানা হয়নি বলেও অভিযোগ এসেছে। এদিকে সবশেষ নির্বাচনী প্রচারণার সময় সভাপতি পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মৌসুমীকে এফডিসির শিল্পী সমিতিতে খল নায়ক ড্যানিরাজ অপমান করেন। পরে  মৌসুমীর কাছে ড্যানিরাজ ক্ষমা চাইলেও এমন ঘটনা জানার পর সমিতির একাধিক সদস্য নিন্দা জানিয়েছেন।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর