× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছেলে হত্যার বিচার চান তুহিনের মা

এক্সক্লুসিভ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
১৮ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার

নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার ৫ বছরের শিশু তুহিন। ছেলে হত্যার বিচার চেয়েছেন তুহিনের মা মনিরা বেগম। যারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে সমাজে এ ধরনের অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি। তবে ছেলে হত্যায় বাবা জড়িত এটা মেনে নিতে পারছেন না মনিরা বেগম। সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের জকিনগর গ্রামে নিহত তুহিনের নানার বাড়িতেই মনিরা সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ১৫ দিন হয়েছে মনিরা বেগম এক কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন। সন্তান হারানোর শোকে তিনি এখন বাকরুদ্ধ। মনিরা কথা বলছেন না কারোও সঙ্গে।
তার বড় ছেলের বয়স সাড়ে ৭ বছর। মেজো ছেলে নিহত তুহিনের বয়স ৫ বছর ছিল। ছোট ছেলের বয়স ৩ বছর।

এক প্রশ্নের জবাবে মনিরা বেগম বলেন, তার সঙ্গে (স্বামী) আমার ছেলে দুই বছর ধরে ঘুমাচ্ছে। আমি তো জানি না কে বা কারা আমার ছেলেকে মেরেছে। মানুষ যা বলছে এখন আমাকে তাই বিশ্বাস করতে হবে। তারপরও আমার মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। যেই আমার ছেলেকে মেরেছে আমি তার বিচার চাই। এ মামলার অপর আসামি নাসিরের সঙ্গে তার স্বামীর কেমন সম্পর্ক ছিল জানতে চাইলে তুহিনের মা বলেন, তারা তো দেখছি ভাই-ভাই হিসেবে মিলেমিশে চলতো। এর বাইরে কী ছিল তাতো জানা নেই। কার মনে কী আছে আমি তো জানি না। এদিকে, বর্বরোচিতভাবে শিশু তুহিনকে হত্যার ঘটনায় শোকে স্তব্ধ আর ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা। খুনিদের পাশবিকতা হার মানিয়েছে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে। খুনিদের ধিক্কার জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করছেন অনেকেই। খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।

কাজাউড়া তুহিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়া তুহিনের চাচা নাছিরের ঘরে তালা ঝুলছে। নিহত তুহিনের ঘরের দরজা খোলা থাকলেও সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। পাশের ঘরে চাচা আবদুল মোছাব্বিরের (ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার) ঘরে রয়েছেন তার সদ্য সন্তান প্রসব করা স্ত্রী জরিনা বেগম ও তার মা। অন্য চাচাদের ঘরেও কেউ নেই। বাড়িতে নেই কোনো পুরুষ সদস্য। চাচি জরিনা বেগম বলেন, নবজাতক সন্তানের কারণে রাতের অধিকাংশ সময় আমাকে নির্ঘুম থাকতে হয়। ওই রাতে তুহিনদের ঘরে শোরগোল শুনে বাচ্চার বাবা (স্বামী আব্দুল মোছাব্বির) কে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। পরিবারের সবাই কান্নাকাটি করে তুহিনকে খুঁজতে থাকেন। তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারের লোকজন জড়িত তিনি বিশ্বাস করেন না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর