দলে কেন নেয়া হয়নি কোনো লেগ স্পিনার, এ বিষয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা চাইতে বিসিবিতে তলব করা হয়েছে ঢাকা বিভাগ ও রংপুরের কোচকে। আসন্ন বিপিএলে প্রতি দলেই থাকতে হবে একজন করে লেগ স্পিনার। একই কথা বলা হয়েছিল চলতি জাতীয় ক্রিকেট লীগের জন্যও (এনসিএল)। নিয়ম না করা হলেও, সবগুলো দলকেই বলা হয়েছিল একাদশে যেন অন্তত একজন হলেও রিস্ট স্পিনার নেয়া হয়। কিন্তু লীগের দুই রাউন্ডেই কোনো লেগ স্পিনার খেলায়নি ঢাকা বিভাগ। গতকাল শুরু হওয়া দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে রংপুর বিভাগের একাদশেও নেই কোনো লেগ স্পিনার। তবে কবজির মোচড়ে বল ঘোরাতে পারা লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার তানবির হায়দার আছেন রংপুরে। কিন্তু ঢাকার দুই স্পিনার হলেন নাজমুল ইসলাম ও শুভাগত হোম।
এ দুই দলই চট্টগ্রামে মুখোমুখি হয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে। যেখানে চাইলেই ঢাকা ও রংপুর দলে রাখতে পারতো বর্তমান সময়ের অন্যতম সম্ভাবনাময় দুই লেগ স্পিনারকে। ঢাকার স্কোয়াডে আছেন জুবায়ের হোসেন লিখন এবং রংপুরে আছেন রিশাদ হোসেন। তবু একাদশে সুযোগ মেলেনি এ দুই লেগ স্পিনারের। আর গতকাল বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন পাপন বলেন, ‘এই যে জাতীয় লীগ হচ্ছে। এত কিছু বলার পরও, লেগ স্পিনার নিয়ে এত কথা বলছি, অথচ রিশাদকে খেলানো হয়নি এখনও। লিখনকেও (জুবায়ের হোসেন) খেলানো হয়নি। আমরা এত কিছু বলার পরও যদি সেরা একাদশে ওদের না নামায়, তাহলে কী করণীয়? আমরা নিশ্চিত ছিলাম আজকে (গতকাল) খেলাবে, কিন্তু নামায়নি।’ বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আপাতত যেটা করেছি, জাতীয় লীগে কেন লেগ স্পিনার খেলায়নি, সেটি জানতে দুই কোচকে তলব করা হয়েছে। লেগ স্পিনারদের তো খেলাতে হবে! না খেলালে ওরা উঠে আসবে কিভাবে?’
ঢাকা বিভাগের কোচ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। মাঠের কন্ডিশন দেখে টিম ম্যানেজমেন্ট ও দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের সমন্বিন সিদ্ধান্ত এটি। হ্যাঁ বোর্ড তলব করেছে। আমরা কেন লিখনকে একাদশে নিতে পারিনি বোর্ডকে সে ব্যাখ্যা দেবো।