টানা তৃতীয় ও ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মতো লিওনেল মেসির হাতে উঠলো গোল্ডেন স্যু। আর পুরস্কার হাতে মেসি বলেন, ইউরোপসেরা হওয়ার ক্লাব টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স লীগের চেয়ে স্প্যানিশ লা লিগাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গত মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ গোলদাতা হন বার্সেলোনার এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। লা লিগায় ৩৪ ম্যাচে ৩৬ গোল করেন তিনি। তাতে লীগ শিরোপা ধরে রাখে বার্সেলোনা। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে মেসির হাতে পুরস্কার তুলে দেয় আয়োজক ইউরোপিয়ান স্পোর্টস মিডিয়া। এর আগে ২০০৯-১০, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ মৌসুমে গোল্ডেন স্যু জিতেছিলেন মেসি। এবারের গোল্ডেন স্যু পুরস্কার গ্রহণ করে মেসি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লীগ আমাদের জন্য বিশেষ কিছু।
আমরা প্রতি মৌসুমেই তা জিততে চাই। যদিও লা লিগা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটা আপনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ও স্প্যানিশ কাপে প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলবে। লা লিগায় ভালো করতে পারছেন না কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ভালো করার চেষ্টা করছেন- এ সময়টা খুব কঠিন। এটা সত্য যে আমরা সব সময় চ্যাম্পিয়ন্স লীগ নিয়ে কথা বললেও লা লিগা ও স্প্যানিশ কাপ ভুলে যাই না। কারণ আমরা বার্সেলোনা, আমরা সব শিরোপা জিততে চাই।’
মেসিই সবচেয়ে বেশিবার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন স্যু জেতা খেলোয়াড়। চারবার এই পুরস্কার জিতে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ২০০৭-০৮, ২০১০-১১, ২০১৩-১৪ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমে এ খেতাব জেতেন পর্তুগিজ তারকা রোনালদো। এছাড়া দুবার করে গোল্ডেন স্যু জিতেছেন রোনালদোর স্বদেশি ইউসেবিও ও ফার্নান্দো গোমেজ, জার্মানির জার্ড মুলার, রোমানিয়ার দুদু জর্জেস্কু, স্কটল্যান্ডের অ্যালি ম্যাকোয়েস্ট, ব্রাজিলের মারিও জারদেল, ফ্রান্সের থিয়েরি অঁরি, উরুগুয়ের দিয়েগো ফোরলান ও লুইস সুয়ারেজ। এবারের লা লিগায় ৮ ম্যাচে বার্সেলোনার সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। তাদের সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বার্সা সবশেষ শিরোপা জিতেছে ২০১৫ সালে।