কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় পৌর সদরের ৩নং ওয়ার্ডের পূর্বপাড়া মহল্লায় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জুয়েল (৩৫) কে তার বাড়ির সামনে একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে চলে যায়। তাকে উদ্ধার করে কটিয়াদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাতেই তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। কটিয়াদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডাক্তার সঞ্জয় দাস বলেন, তার ডান হাতে একটি বড় কোপ, বগলের নিচের কোপটি গভীর, বাম হাতের তালু, কনুই, পিঠের ডাকদিকে ও ঘাড়ে একটি কোপ রয়েছে। তার ভাই সুহেল জানান, সকালে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপারেশন চলছিল।
কটিয়াদিতে দেড় মাসের ব্যবধানে ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। দেড় মাস পূর্বে কলেজের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নূরুল হক, তারপর জালালপুর নিবাসী আওয়ামী লীগ নেতা ফারুকুল ইসলাম ফারুক, কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে দেলোয়ার হোসেন, বাজারের কাঁচা বাজার সংলগ্ন রেস্তরাঁর ভেতর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহমুদুল ইসলাম মামুনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। মামুন বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
কিন্তু অদ্যাবধি গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিশোর গ্যাং এর আধিপত্য না দলীয় প্রভাব বিস্তারে কিশোর গ্যাংকে ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়ে এলাকার ছোট বড় সকল মহলে আলোচনা থাকলেও সঠিক তথ্য উদঘাটন সম্ভব হচ্ছে না। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হয়তো এর রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে। অ্যাডভোকেট বজলে কাদের মুকুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। বহু রাঘববোয়াল জেল হাজতে। কিন্তু কটিয়াদীতে এর ব্যত্যয় ঘটছে। শান্তির শহরে জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না হলে পরিবেশ আরো অশান্ত হয়ে যেতে পারে। কটিয়াদী থানার ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সন্দেহজনক একজনকে আটক করা হয়েছে। পর পর দুটি ঘটনার কোনো মামলা হয়নি। এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।