বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরে ১২২ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ আটকে আছে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায়। উন্নয়ন প্রকল্পের চার বছর মেয়াদের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করতে পারেনি। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বন্দরের উন্নয়ন কাজ শেষ হবে কি-না, এ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরাও প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সন্দিহান।
গত বছর শেওলাকে শুল্ক স্টেশন থেকে স্থলবন্দরে উন্নীত করা হয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দেশের চারটি স্থলবন্দর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে কাজ করতে বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্টের আওতায় স্থলবন্দরগুলোর কাজে হাত দেয় সরকার। চারটি স্থলবন্দরের উন্নয়নে ব্যয় ৬৯৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের জন্য ব্যয় হবে ১২২ কোটি টাকা। ভূমি অধিগ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ২২.১০ একর ভূমির প্রস্তাব পাঠিয়েছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্টের আওতায় শেওলা স্থলবন্দরসহ আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন করা হচ্ছে বেনাপোল, ভোমরা, রামগড় স্থলবন্দরের।
এ চার স্থলবন্দরের মধ্যে অন্যগুলোর উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও শেওলা স্থলবন্দরের উন্নয়ন কাজ আটকে আছে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায়। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া চার বছরের এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালের জুনে।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী রুহুল আমিন বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশাকরি এসব প্রক্রিয়া আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে।
স্থলবন্দরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান আলী বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে কাগজপত্র পর্যালোচনা করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত কাগজ পাওয়ার পর আমরা ভূমির মূল্য জেলা প্রশাসকের নির্ধারিত হিসাব নম্বরে পাঠিয়ে দেবো। তিনি বলেন, প্রকল্পের মেয়াদের অর্ধেকেরও বেশি সময় চলে গেছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব নাও হতে পারে। পরবর্তী বিষয় চিন্তা না করে আপাতত উন্নয়ন কাজ শুরুর প্রথম ধাপ ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্নসহ আনুষঙ্গিক কাজ আমরা করছি।