ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাটে এমভি কির্তনখোলা-২ লঞ্চের ক্যান্টিনের বাবুর্চিকে তুচ্ছ ঘটনার জেরধরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে ক্যান্টিনের ম্যানেজারসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত বাবুর্চির নাম মো. রুবেল হোসেন (২২)। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। আর আটককৃতরা হচ্ছে ক্যান্টিনের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম মিন্টু (৪০) ও রবিউল হাসান (২৪)। এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুর ১২টায় সদরঘাট টার্মিনাল এলাকায় এমভি কির্তনখোলা-২ লঞ্চের ক্যান্টিনে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই ইমরান উকিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এমভি কির্তনখোলা-২ লঞ্চের ক্যান্টিনে বাবুর্চি রুবেল হোসেনের সঙ্গে একই লঞ্চের স্টাফ মো. ইয়ামিন (২২)এর সঙ্গে তরকারি কাটাকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ইয়ামিনের হাতে থাকা একটি ধারালো বঁটি দিয়ে সে রুবেল হোসেনের গলায় একাধিক কোপ দেয়।
এতে সঙ্গে সঙ্গেই রুবেল হোসেন নিহত হয়। এই ঘটনায় ঘাতক ইয়ামিন দৌড়িয়ে লঞ্চ থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় ক্যান্টিনের ম্যানেজারসহ অন্যান্য স্টাফরা ঘটনাটি দাঁড়িয়ে দেখলেও তারা ঘাতক ইয়ামিনকে আটক করেনি। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যান্টিনের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম মিন্টু ও লঞ্চের স্টাফ রবিউল হাসানকে আটক করা হয়েছে। ঘাতক ইয়ামিনের বাবার নাম ইসাহাক সরদার। বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানায়।