× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিন্দু থেকে সিন্ধুতে হেইডেন ওয়ালশ

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৯ অক্টোবর ২০১৯, শনিবার

অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসসেরা ওপেনার ম্যাথিউ হেইডেন আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তির পেসার কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে তার নামের মিল। হেইডেন ওয়ালশ। ২৭ বছর বয়সী এই লেগস্পিনার আইসিসির সহযোগী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। আর এবারের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (সিপিএল) সবচেয়ে আলোকিত নামটি তার। ইমরান তাহির, জেসন হোল্ডারের মতো বোলারদের পেছনে ফেলে জিতলেন আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। এরপরই হেইডেন ওয়ালশ ডাক পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলে। ভারতের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজের জন্য ক্যারিবীয় দলে রাখা হয়েছে তাকে।
বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ২০১৯ সিপিএলে ৯ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়েছেন হেইডেন ওয়ালশ। গড় ১২.৬৮! সেরা বোলিং ফিগার ৫/১৯।
ইকোনমি রেট ৮.২৮। টি-টোয়েন্টি আসরে একজন লেগির এ ইকোনমি রেটকে বাজে বলা যাবে না। কারণ একটু খরুচে হলেও প্রয়োজনীয় মুহূর্তে উইকেট নেয়ার কাজটি করে গেছেন এই বোলার।
হেইডেন ওয়ালশের সিপিএল যে এতটা ভালো কাটবে, সেটি তিনি নিজেও ভাবেননি! গায়ানাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে ওয়ালশ বলেন, ‘আমি কখনোই বলতাম না এবারের টুর্নামেন্টে আমি সর্বাধিক উইকেট শিকারি বোলার হবো। আমি ভেবেছিলাম সিপিএলে এবারের বছরটা ভালো কাটবে। কিন্তু এতটা ভালো কাটবে তা আশা করিনি। আমি কেবল একাদশে সুযোগ পাওয়ার চেষ্টায় ছিলাম। কিন্তু আমি তার চেয়ে বেশি কিছু করে ফেলেছি।’
হেইডেন ওয়ালশের পুরো নাম হেইডেন রাশিদি ওয়ালশ। যনি ওয়ালশ জুনিয়র নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর চলতি বছরের এপ্রিলে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে অভিষেক হয় তার। টি-টোয়েন্টি অভিষেক মার্চে আরব আমিরাতের বিপক্ষে। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া লীগে বার্বাডোজের হয়ে খেলেছেন। কিন্তু অল্পই একাদশে সুযোগ পান ওয়ালশ জুনিয়র। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বার্বাডোজের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান হেইডেন ওয়ালশ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর আমি কেন্দ্রীয় চুক্তির জন্য মুখিয়ে ছিলাম। ওরা আমাকে চুক্তির অফার করলো। কিন্তু চুক্তিপত্র হাতে পাওয়ার পর দেখলাম অনেক কিছুই প্রত্যাশানুযায়ী নেই। এক বছরের কথা বলা হলেও আসলে সেটি ছিল মাত্র তিন মাসের। আমার স্ত্রী (টিভেল) আমাকে একটা টেক্সট করে বলে যে, ওরা তোমাকে মূল্য দেয়নি। দিলে ওমন চুক্তির প্রস্তাব করতো? তার কথায় আমার মাঝে এই বোধ জাগে যে আমার আরো সম্মান প্রাপ্য। আর সেটির জন্য যা করার তাই করতে হবে আমাকে।’
এরপর জুলাইয়ের এক সকালে হেইডেন ওয়ালশ সুটকেটস গোছান। তার জন্মস্থান সেন্ট কিটস থেকে দুটি টিকিট নিয়ে মিয়ামির বিমানে উঠেন। একটি টিকিট তাকে নিয়ে যাবে লস অ্যাঞ্জেলেসে। যেখানে ট্রেনিং ক্যাম্প করছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দল। সেখানে গেলে কেন্দ্রীয় চুক্তি করতে পারবেন তিনি। আরেকটি টিকিট কানাডার টরন্টোর। সেখানে গেলে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লীগের কোনো এক ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সুযোগ থাকবে ওয়ালশ জুনিয়রের। তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন লস অ্যাঞ্জেলেসে যাবেন। কিন্তু ৩৬ হাজার ফুট ওপর দিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেয়ার সময় মন পাল্টান। মিয়ামিতে নেমে টরন্টোর বিমান ধরেন। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভ্যাঙ্কুবার নাইটসে নাম লেখান। ৭ উইকেট নেন মাত্র ৪ ম্যাচে। তবে ফাইনালে তার দল সুপার ওভারে হেরে যায় উইনিপেগ হকসের কাছে। এরপর কেন্দ্রীয় চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দলের হয়ে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন ওয়ালশ জুনিয়র। সিপিএলের প্লোয়ার্স ড্রাফট শুরু হলে তিনি নিলামে নাম লেখান। নিলামের ১৭তম রাউন্ডের শেষ খেলোয়াড় হিসেবে বার্বাডোজ তাকে কিনেছিল মাত্র ৩ হাজার মার্কিন ডলারে। সেই খেলোয়াড়টিই হলেন টুর্নামেন্ট সেরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর