গুজরাটের সুরাটে হিন্দু নেতা কমলেশ তিওয়ারিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে উত্তর প্রদেশ পুলিশ আটক করেছে দু’জন মাওলানাকে। তারা হলেন, মাওলানা আনোয়ারুল হক এবং মাওলানা মুফতি নাঈম। কমলেশ কয়েক বছর আগে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। এরপর তার মাথার মূল্য নির্ধারণ করেন ওই দু’জন মাওলানা। কমলেশ হত্যায় জড়িত সন্দেহে আরো তিনজনকে গুজরাট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ খবর দিয়ে ভারতের অনলাইন জি নিউজ বলছে, হিন্দু মহাসভা নেতা কমলেশ তিওয়ারিকে লক্ষেèৗতে নাকা হিন্দোলা এলাকায় তার নিজের অফিসের ভিতরে হত্যা করে অজ্ঞাত হামলাকারীরা। এ হত্যার অভিযোগে ওই গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়। প্রথমে সুরাটের লিম্বায়েত এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে গুজরাট এন্টি টেরোরিজম স্কোয়াডের (এটিএস) সদস্যরা।
পুলিশের তথ্যমতে, কমলেশ তিওয়ারিকে হত্যা পরিকল্পনায় এই তিন ব্যক্তি জড়িত।
কমলেশ হিন্দু সমাজ পার্টিরও নেতা। তাকে হত্যার কয়েক ঘন্টা পরে শুক্রবার রাতে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে আটক করে কমপক্ষে ৭ জনকে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সিসিটিভি ফুটেজের ওপর ভিত্তি করে তাদেরকে আটক করা হয়। ওই ফুটেজে তাদেরকে সুরাটের একটি মিষ্টির দোকানে দেখা যায়। কমলেশ তিওয়ারিকে শুক্রবার যারা গুলি করে হত্যা করে তাদের দু’জনকে দেখা যায় একটি মিষ্টির বাক্স নিয়ে যেতে। পুলিশ বলছে, খুনিরা কমলেশের পরিচিত। তারা তাকে মিষ্টি খাওয়াতে যায়। এ সময়টাকেই তারা গুলি করে হত্যার উত্তম সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে। সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহজনকদের সুরাটের একটি মিষ্টির দোকানে মিষ্টি কিনতে দেখা যায়। অন্যদিকে, উত্তর প্রদেশ পুলিশ গ্রেপ্তার করে ওই দু’ মাওলানাকে। নিহত কমলেশ তিওয়ারির স্ত্রী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার একদিন পরেই এ ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার সুরাটে পৌঁছাতে পারে লক্ষেèৗ পুলিশ। অভিযুক্ত ও গ্রেপ্তার করা তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট এটিএস। পুলিশ সেখানে পৌঁছানোর পর তাদেরকে লক্ষেèৗ পুলিশের কাছে হাতবদল করা হতে পারে। এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে গুজরাট এটিএস সুরাট থেকে কাশিম ও উবাইদ নামে দু’ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিশের সন্দেহ ছিল তারা আইএসের এজেন্ট। তারা কমলেশ তিওয়ারিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছিল বলে দাবি পুলিশের। এই কমলেশকে শুক্রবার দিনের বেলা তার অফিসে হত্যা করা হয়েছে। দু’ ব্যক্তি তার বাড়িতে প্রবেশ করে তার গলা কেটে এবং কয়েকবার ছুরিকাঘাত করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।