× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিপিএল-এ বাধ্যতামূলক লেগ স্পিনার রাখার সমালোচনায় সাকিব / ‘বিপিএল খেলোয়াড় তৈরির জায়গা নয়’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার

বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লীগে (বিপিএলে) প্রতি দলে একজন করে লেগ স্পিনার ও ১৪০ কি. মি গতির বোলার নেয়া বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের লেগস্পিন খেলতে সমস্যায় পড়তে না হয়। পাশাপাশি লেগ স্পিনারেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় দেশের ক্রিকেট অঙ্গন। ইতিমধ্যেই জাতীয় ক্রিকেট লীগে লেগ স্পিনার খেলানোর নিয়ম কড়াকড়ি করেছে বিসিবি। সম্প্রতি এই নির্দেশনা অমান্য করায় দুই কোচ বরখাস্তও হয়েছেন। জাতীয় লীগে লেগস্পিনার খেলানোর সিদ্ধান্তকে ভালো বলছেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে বিপিএলে লেগস্পিনার বাধ্যতামূলক করার বিষয়টিকে কিছুটা বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে সাকিবের কাছে। সম্প্রতি একটি বাংলা দৈনিককে দেয়া সাকিবের সাক্ষাতকারে উদ্ধৃতি তুলে ধরেছে ক্রিনইনফো।
সাক্ষাতকারে বাংলাদেশি অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমি মনে করি, আত্মবিশ্বাস ও ধারাবাহিকতা পেতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বেশি বেশি বল করা উচিত লেগ স্পিনারদের। বিপিএল হলো আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট। যেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দৃশ্যপট ফুটে ওঠে। আপনি বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করেন। এটা (বিপিএল) খেলোয়াড় তৈরির জায়গা নয়। অনেক বছর ধরেই আমাদের সিনিয়র টিমে একজন লেগ স্পিনার নেই। হঠাৎ বিপিএলে সাতজন লেগস্পিনার নেয়ার সিদ্ধান্ত হলো। এটা খানিকটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। তবে আমি বলতে চাই, বোর্ড ভালো মনে করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এবারের বিপিএলে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকছে না। ফলে খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতা পূর্বের আসরগুলোর চেয়ে কম হবে। সাকিব এটা নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সঙ্গে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের ইনক্রিমেন্ট, সেলারি এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও ক্ষোভ ঝারেন এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ম্যাচ ফি খুব অগ্রহণযোগ্য। একজন ক্রিকেটারের পক্ষে বাংলাদেশে জীবন-যাত্রার ন্যুনতম মান বজায় রাখার জন্য এই অ্যামাউন্টটা খুব সামান্য। সরকারি অফিসাররা প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের বেতন-ভাতার কোনো পরিবর্তন নেই। এমনকি সেটা আরো কমেছে। বিপিএল ও ডিপিএলই এর বড় উদাহরণ। এটা ঠিক না। সবার সমান সুযোগ থাকা উচিত। সিদ্ধান্ত-গ্রহীতারা যদি আমাদের সঙ্গে বসার প্রয়োজন মনে না করে তবে আমরা বেশি কিছু করতে পারবো না। আমি মনে করি, খেলোয়াড়ের সঙ্গে তাদের আলোচনা ক্রিকেটের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’
বিসিবি ফিটনেস টেস্টে বেশ জোর দিয়েছে। খেলোয়াড়দের বিপি টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে। জাতীয় লীগে খেলতে হলে এখন থেকে বিপি টেস্টে পাস করে খেলতে হবে ক্রিকেটারদের। সাকিব বলেন, ‘আমি খুশি যে তারা ক্রিকেটীয় উন্নয়নে জোর দিয়েছে। যেমন ফিটনেস টেস্ট। তবে অন্যান্য দিকেও নজর দিতে হবে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটে ভালোমানের জিম থাকা দরকার। আমরা মিরপুরের ইনডোরে ১৫ মিনিটের বেশি ব্যাট করতে পারি না। কারণ ওখানে খুব গরম। গত ১০ বছরে বেশ কয়েকবার বলা হলেও কোনো এয়ার কন্ডিশনের ব্যবস্থা করেনি তারা। এটা খুব হতাশাজনক, যখন দেখি অন্যান্য দেশের ইনডোর আলোকসজ্জিত আর এসির সুবিধা।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর