× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত

অনলাইন

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) অক্টোবর ২০, ২০১৯, রবিবার, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে মাদক কারবারিদের পৃথক গোলাগুলিতে দুই ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়ার ছালেহ আহমদের পুত্র মোঃ আজিজ (২৪) ও হোয়াইক্যং কাঞ্জরপাড়ার মৃত আবদুল জলিলের ছেলে মোঃ রহিম উদ্দিন প্রকাশ রফিক (৩৭)। এসময় ঘটনাস্থল হতে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, শনিবার দিবাগত রাত ৯ টারদিকে মো. আজিজকে(২৪) গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্বীকারোক্তি মতে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করার জন্য মেরিন ড্রাইভ সড়কের মহেশখলিয়াপাড়া নৌকাঘাটে রাত সাড়ে ১১ টারদিকে অভিযানে যায়। সেখানে পৌঁছামাত্র আসামিদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই মিশকাত, কনস্টেবল রোমন দাশ  গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় নিজেদের আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এক পর্যায়ে গুলাগুলি থামলে ঘটনাস্থল হতে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোঃ আজিজের(২৪) গুলিবিদ্ধ  গুরুতর আহত অবস্থায় এবং একটি  এলজি, ৭ রাউন্ড কার্তুজ ও ৩ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।


গুরুতর আহত আসামিসহ আহত পুলিশ সদস্যদেরকে টেকনাফ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করলে পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়  এবং গুরুতর আহত আসামি মো. আজিজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আসামিকে মৃত ঘোষণা করেন।টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, উক্ত ঘটনার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এদিকে একই রাত ১২ টারদিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাংয়ের নাফ নদী হয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল ওই স্থানে কৌশলগত অবস্থান গ্রহন করে। এসময় একজন লোক নাফ নদীর কিনারায় ঘুরাঘুরি করতে দেখে এবং কিছুক্ষণ পর ৪-৫ জন লোক নৌকা যোগে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের জল সীমার কিনারায় পৌঁছলে বিজিবি জওয়ানরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এক পর্যায়ে উঁৎপেতে থাকা ইয়াবা কারবারিরা অতর্কিতভাবে বিজিবির উপর  এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এসময় দুই জন বিজিবি সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও গুলি বর্ষন করলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৭-৮ মিনিট গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে ১ ব্যাক্তিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখে বিজিবি সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে পৌঁছার পর ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে সে হোয়াইক্যং কাঞ্জরপাড়ার মৃত আবদুল জলিলের পুত্র মোঃ রহিম উদ্দিন প্রকাশ রফিক (৩৭) বলে সনাক্ত করা হয়।

এছাড়া ঘটনাস্থল হতে এক কোটি আশি লাখ টাকা মুল্যমানের ৬০ হাজার পিস ইয়াবা, দেশীয় তৈরী ১টি বন্দুক, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২ টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ ফয়সাল হাসান খান জানান, টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অসাধু মাদক পাচারকারী চক্র বেপরোয়া হওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের প্রতিরোধে বিজিবি টহল জোরদার রয়েছে এবং সংঘটিত ঘটনার ব্যাপারে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর