অদৃশ্য এক জানোয়ারের উপর চলছে বাংলাদেশ | গুজব হতে পারে তাই বলে পুলিশ ৪ তা প্রাণ কেড়ে নিবে কোন অধিকারে ? তারা আমাদের টাকায় তাদের সন্তান ও মা বাবার আহার জোগাড় করেন ( যদিও বেতনের টাকার থেকে অবৈধ টাকা বেশি ) | এই গুলির সংস্কৃতি কবে শেষ হবে | এক অসভ্ভো ,অভদ্র সমাজে পরিণত হয়েছে এই দেশ |
গণতান্ত্রিক দেশে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া অপরাধ। কাউকে অপরাধী মনে হলে আদালতে বিচারের জন্য এভিডেন্সসহ থানায় অভিযোগ করতে হবে, এই শিক্ষাটাই সরকার জনগণকে দিতে পারেনি। ভোলার ঘটনা সরকারের অযোগ্যতা, কুশাসন ও ব্যর্থতার ফসল। কারণ অতীতেও নানান স্থানে এমন ঘটনা ঘটছে, সরকার প্রশাসন তা থেকে কোনো অভিজ্ঞতাই অর্জন করতে পারেনি।
সোসাল মিডিয়ায় কত পোস্ট দেখলাম হিন্দু ধর্মকে অবমাননা করে। কিন্তু কই হিন্দুরা তো কোন আন্দোলন করল না, কোন মামলা করল না? মুসলমানদের এত গাত্রদাহ কেন হয়? আসলে এটা তাদের এক ধরণের কালচার এ পরিণত হয়েছে।
খুনি বাহিনী কে গ্রেফতার করা হোক এবং আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করা হোক
আবশ্যই পুলিশের সিদ্ধান্তে ইস্কনের ইন্ধন রয়েছে ।
বিপ্লব চন্দ্র শুভ ছেলেটা চালাক ছিলো। তার আইডিতে অন্য কেউ লগ ইন করেছে এবং সেখান থেকে ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ মেসেজ অন্যদের পাঠানো হচ্ছে এটা জানার পর সে বুঝে গিয়েছিলো যে, আরেকটা নাসিরনগরের ছক কাঁটা হচ্ছে। ফলে, সে নিজেই তৎক্ষণাৎ পুলিশের কাছে চলে যায় এবং আসন্ন বিপদের কথা চিন্তা করে নিজেই জিডি করে রাখে এবং পুলিশও ছেলেটাকে পুলিশি হেফাজতেই রেখে দেয়। ছেলেটার ধারণা মিথ্যা হয়নি। পরদিন সকালেই তার শাস্তির দাবিতে অনুভূতিসর্বস্ব মুমিনরা একেবারে ব্যানারসহ বিশাল মিছিল বের করে। পুলিশ যেহেতু আগে থেকেই জানতো, তাই তারাও এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিল। মুমিনরা কখনো শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছে এমন শুনেছেন? না, এই ক্ষেত্রেও সেটা হয়নি। মুমিন এবং পুলিশের মধ্যে বাঁধলো সংঘর্ষ যে সংঘর্ষে িতমধ্যে মারা গেছে ৪ জন! এই কথাগুলো নেয়া হয়েছে Saiful Islam এর স্ট্যাটাস থেকে। আরেকজনের স্ট্যাটাসে দেখলাম, হিন্দুদের বাড়ীঘরে হামলা চালানো হয়েছে। আগুন দেয়া হয়েছে। এর নাম কি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ? এখানে সেই হামলার ছবি নেই। আছে আহত নিহতদের খবর।
কেউ কোন মাধ্যমে ইসলামের কটুক্তি করলে কি ইসলাম শেষ হয়ে যাবে? ইসলাম তো এতো ঠুনকো নয়। যে ক’জন মানুষ মারা গেল, তাদের পরিবারের কাছে শুনুন, এ মৃত্যু তারা চায় না। এভাবে জেহাদি হওয়ার দরকার ছিল না। ইসলামে হিকমত বলে একটা কথা আছে। সেটা কই? পুলিশ আমার তোমার উপদেশ শুনবে না। তাহলে, যুক্তিহীন মৃত্যুর পথে কেন যাবো? একদিন সবকিছু পরিবর্তন হবে। আমার চেতনা, মানসিকতা এমনকি সময়ের। শুধু আমিই ঝরে গেলাম। এ সব অদূরদর্শি সিদ্ধানন্তের কারণে ইসলামের ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ এক ইজমের সৃষ্টি হচ্ছে। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
সাধারণ মানুষ কি বন্ধুক নিয়ে গুলাগুলি করতে গিয়েছিল? পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গুলিতে এক পুলিশ সদস্য আহত হলে তারা পাল্টা গুলি চালায়। এর অর্থ কী?
এ কোন সমাজ রাষ্টে আমরা বসবাস করি এখানে কি সাধারণ মানুষ কোন প্রতিবাদ করতে পারবে না প্রতিবাদ করলেই কি গুলি করতে হবে?
এটা জম্মু কাশ্মির নয়, এটা বজ্রনির্ঘোষ বাংলা। আপন সার্বভৌম মহিমায় বাংলা জেগে উঠবেই ইনশাল্লাহ। কেউই দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কটুক্তির কারণে সাধারন মুসলিমরা স্বাভাবিকভাবেই রাগান্বিত ছিল, তাই বলে কি তাদের হত্যা করতে হবে? পরিস্থিতি তো সংযত হয়ে নিয়ন্ত্রণে নেয়া যেত, এমন অতি উৎসাহী কতিপয় পুলিশের শাস্তি নিশ্চিত করুন নতুবা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হতে পারে।
Sad....
মানুষ কি প্রতিবাদ টুকুও করতে পারবে না?
মাঝে মাঝে মনে হয় যেন আমরা ভারতের মধ্যে বসবাস করছি।
Allah and rasool er name e je kutokti korese tar fashi dewa sai
জারা আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের কে না মরা পরজন্ত জুতা পেটা করা দরকার র পুলিস ভাইদের উচিত সিল হিন্দুদের সাস্তি দেওয়ার
এতো মানুষ যদি বন্দুক নিয়ে যেত অর পা ডলা দিতো পুলিশগুলো একটাও বাঁচতো!?? তাহলে জনতার গুলির আত্মারক্ষার্থে গুলি করছে লেখার মানে কি?
কটুক্তকারীর ফাসি চাই
পুলিশ যেমন জনগণের উপর আক্রমন করেছে, জনগনও যদি পুলিশের বাড়িতে আক্রমন চালায় কি অবস্থা হবে পুলিশ ভাইরা ভেবে দেখেছেন?
এখন যদি ক্ষমতা বান কারো নামে কুট‌উক্তি করা হতো । তাহলে অপরাধ হতো। কিন্তু আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি করা হয়েছে তাই অপরাধ হবে কেন।
Ferdous
২০ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার, ৯:০৪রাসুলের (সঃ) অপমানে কাঁদেনা যদি তর মন মুসলিম নয় মুনাফিক তুই রাসুলের(সঃ) দুশমন। (কবি কাজী নজরুল ইসলাম)