× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লোহাগড়ায় বোনের হাতে ভাই খুন

অনলাইন

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) অক্টোবর ২০, ২০১৯, রবিবার, ১:২৭ পূর্বাহ্ন

নড়াইলের লোহাগড়ায় তুচ্ছ ঘটনায় শিশু রমজানকে খুন করেছে তার খালাতো বোন। অভিযুক্ত খালাতো বোন মীম আক্তার (১৩) সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। শিশু শ্রেণিতে পড়ত রমজান (৭)। লোহাগড়া পৌর এলাকার সিংগা গ্রামে নানাবাড়িতে তারা বসবাস করত। মীমকে ডিম বলে প্রায়ই ক্ষ্যাপাতো রমজান। গত বুধবার দুপুরে ক্ষ্যাপাতে থাকলে রমজানকে মীম মারপিট করে। রমজান বাড়ির উঠানে পড়ে গেলে গলা চেপে ধরে মীম। এতে শ্বাসরোধ হয়ে রমজানের মৃত্যু হয়।
এরপর রমজানের মামি পুতুল বেগম কোলে করে নিয়ে লাশ ফেলে আসে পার্শ্ববর্তী নালায়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নড়াইলের আমলি আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদার কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মীম। গত বুধবার বিকেলে সিংগা গ্রামের একটি বাগানের পাশে নালায় শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। খুনের ঘটনায় শিশুটির নানা হাবিবুর রহমান অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা করেন। পুলিশ এর আগে শিশুটির বাবা, মামা, খালা ও খালুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, শিশুটির মা বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মাবিয়া আক্তারের সঙ্গে বাবা ইলিয়াস হোসেন ইলু শেখ’র প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মাবিয়া। সামাজিক চাপে ইলিয়াস বিয়ে করে মাবিয়াকে। বিয়ের একমাস পর জন্ম হয় রমজানের। জন্মের পর শিশু রমজানকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই ছিলেন মাবিয়া। তিন বছর আগে হৃদরোগে মারা যান মাবিয়া। এরপর নানাবাড়িতে অযতœ, অবহেলা ও মারধরের শিকার হয়ে বড় হচ্ছিল রমজান।
এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই মিলটন কুমার দেবদাস বলেন, ‘প্রথম থেকেই স্বজনদের দিকে সন্দেহের তীর ছিল। সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মীম আক্তার হত্যাকান্ডের বর্ণনা দেয়। পরে ১৬৪ ধারায় আদালতে তার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর